দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের চরম ক্ষমতাপ্রদর্শন, মহড়া ১০ হাজার সেনার
গোড়া থেকেই দক্ষিণ চিন সাগরের বিতর্কিত অংশে বেশ কয়েক দশক ধরে ‘দাদাগিরি’ দেখিয়ে আসছে চিন। এমনকী ভিয়েতনাম, ফিলিপিনস, জাপানের দাবি উপেক্ষা করে সমুদ্রের ওই এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে জিনপিংয়ের দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদন: দক্ষিণ চিন সাগরে নজিরবিহীন মহড়া চালালো চিনা নৌসেনা। বৃহস্পতিবার, চিনের সেন্ট্রাল কমিটি অব মিলিটারির চেয়ারম্যান তথা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে শুরু হয় এই মহড়া। পিপলস লিবারেশন পার্টির সংবাদমাধ্যমের দাবি, এটি ছিল প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের জমানায় সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া।
আরও পড়ুন- মহাদেব ইমরানকে দেখে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান
চিনা নিরাপত্তা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছিল ১০ হাজার সেনা। এছাড়া ৪৮টি যুদ্ধজাহাজ এবং ৭৬টি যুদ্ধবিমান অংশগ্রহণ করে। এ দিন প্রথম মহড়ায় দেখা যায় চিনের একমাত্র বিমানবাহী যুদ্ধপোত লিয়াওনিং-কে। এই যুদ্ধপোত থেকে জে-১৫ যুদ্ধবিমান মহড়া চালায়।
আরও পড়ুন- সাংবিধানিক পদে নওয়াজকে আজীবন নির্বাসন দিল পাক সুপ্রিম কোর্ট
গোড়া থেকেই দক্ষিণ চিন সাগরের বিতর্কিত অংশে বেশ কয়েক দশক ধরে ‘দাদাগিরি’ দেখিয়ে আসছে চিন। এমনকী ভিয়েতনাম, ফিলিপিনস, জাপানের দাবি উপেক্ষা করে সমুদ্রের ওই এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে জিনপিংয়ের দেশ। অভিযোগ, প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের দেশগুলির আপত্তি উড়িয়ে সেখানে কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়েছে চিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞ কলিন কোহ-র মতে, দক্ষিণ চিন সাগরকে চিনের অংশ হিসাবে প্রমাণ করতে এই মহড়ার আয়োজন করেছে চিনা সেনাবাহিনী। পিপল’স লিবারেশন আর্মি এখন চিনা সাগরেই থাকবে বলে মত তাঁর।
আরও পড়ুন- সরকারি চাকুরিতে সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার ঘোষণা হাসিনার