আরএসএসের হিন্দুরাষ্ট্রের স্বপ্ন সফল করতেই নাগরিকত্ব বিল পাস করেছে মোদী সরকার : ইমরান খান
বিলটি রাজ্যসভায় পাস হয়ে গেলে ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন আফগানিস্থান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা সেদেশের সংখ্যালঘুরা
নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল লোকসভায় পাস হওয়ার পর মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মানবাধিকারের সব নিয়ম লঙ্ঘন করে ভারত ওই বিল পাস করিয়েছে বলে মন্তব্য করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-৪ সৈকতকে জুড়ে বাংলার মেরিন ড্রাইভ কবে হবে, অপেক্ষায় দিঘাবাসী
সোমবার লোকসভায় পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল(Citizenship Amendment Bill)। অসম-সহ উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে এনিয়ে ইতিমধ্যেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়লেন ইমরান খান(Imran Khan)।
মঙ্গলবার একটি টুইট করে ইমরান বলেন, ভারতের সংসদে পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের তীব্র নিন্দা করছি। কারণ এই বিল মানবাধিকারের সব নিয়ম লঙ্ঘন করে তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি এটি দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিরোধী। আরএসএসের হিন্দু রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে এটি মোদী সরকারের একটি পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, বিলটি (Citizenship Amendment Bill) রাজ্যসভায় পাস হয়ে গেলে আফগানিস্থান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা সেদেশের সংখ্যালঘুরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। সরকারের দাবি মতো, অত্যাচারিত ওইসব মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়া একটি মানবিক পদক্ষেপ। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ না হয়ে এই বিলা আনার প্রয়োজন ছিল না।
আরও পড়ুন-পাখির চোখ সমুদ্র পর্যটনে লগ্নি, আগামিকাল থেকে দিঘায় শুরু হচ্ছে বিজনেস কনক্লেভ
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে বিলটি লোকসভায় পেশ হওয়ার পর থেকেই বিরোধীরা অভিযোগ তোলে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship (Amendment) Bill) বেআইনি ও অসাংবিধানিক। এনিয়ে অমিত শাহ(Amit Shah) সংসদে বলেন, এই বিল সংবিধানের ৫ ও ১৪ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেনি। এমনকি নতুন আইন তৈরির ব্যবস্থাও রয়েছে সংবিধানে।
এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময়ে ইন্দিরা গান্ধীর আমলে বহু বাংলাদেশিকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। উগান্ডার মানুষদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাহলে এখন কেন নয়। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করেছে কংগ্রেস। আমরা তা করিনি। বেশিরভাগ মুসলিম পাকিস্তানে চলে গিয়েছেন। বাকিরা তৈরি করেছেন ভারত। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ না হলে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রয়োজন হতো না।