সৌভিকের খোঁজে মিছিলে সহপাঠীরা
নিখোঁজ সহপাঠীর হদিশ পেতে মিছিল করলেন ম্যাঞ্চেস্টার মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীরা। ছেলের ছবি হাতে মিছিলের সামনে ছিলেন নিখোঁজ ভারতীয় ছাত্র সৌভিক পালের বাবা। গত একত্রিশে ডিসেম্বর রাতে ট্র্যাফোর্ড পার্কের এক নাইটক্লাব থেকে নিখোঁজ হন সৌভিক। সোমবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে পরিবারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
নিখোঁজ সহপাঠীর হদিশ পেতে মিছিল করলেন ম্যাঞ্চেস্টার মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীরা। ছেলের ছবি হাতে মিছিলের সামনে ছিলেন নিখোঁজ ভারতীয় ছাত্র সৌভিক পালের বাবা। গত একত্রিশে ডিসেম্বর রাতে ট্র্যাফোর্ড পার্কের এক নাইটক্লাব থেকে নিখোঁজ হন সৌভিক। সোমবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে পরিবারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
দু` সপ্তাহ কেটে গেছে। এখনও ছেলের খোঁজে ম্যাঞ্চেস্টারের পথে পথে ঘুরছেন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু পাল। ছেলে নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়েই বেঙ্গালুরু থেকে ইংল্যান্ড উড়ে যান তিনি। বরাবরই পাশে পেয়েছেন ম্যাঞ্চেস্টার পুলিসকে। রবিবার শান্তনুবাবুর সঙ্গে পথে নামলেন সৌভিক পালের সহপাঠীরাও। সৌভিকের ছবি নিয়ে ম্যাঞ্চেস্টার মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির মিছিল ঘুরল এপথ ওপথ। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন শান্তনুবাবুই। শনিবারও সৌভিকের জন্য ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে মৌনমিছিল হয়।
পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতে ওই মাঠেই পানীয় জল সরবরাহ করতেন সৌভিক। ম্যাঞ্চেস্টার-লিভারপুল ম্যাচের দিন ডিসপ্লে বোর্ডে দেখানো হয় সৌভিকের ছবিও। তাঁর ছেলে সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সাহায্যের আবেদন জানান শান্তনুবাবু। দর্শকদের একই আবেদন করেন ম্যাঞ্চেস্টার পুলিসের গোয়েন্দা প্রধান কলিন লারকেনও। পুলিসের তরফে প্রকাশ করা হয় ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ। ডুবুরি নামানো হয় নাইটক্লাবের নিকটস্থ ক্যানালগুলিতে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেস্টার মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে প্রোডাক্ট ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করতে যান সৌভিক। সৌভিকদের আদি বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে।
গত একত্রিশে ডিসেম্বর বন্ধুদের সঙ্গে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের কাছেই একটি নাইটক্লাবে যান সৌভিক। তারপর থেকেই আর খোঁজ মিলছে না তাঁর। এদিকে বেঙ্গালুরুতে বসে নেই সৌভিকের মা মহুলা পালও। ঘটনার পরই হস্তক্ষেপ চেয়ে বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদকে চিঠি লেখেন তিনি। চিঠি পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। মহুয়াদেবীর চিঠি পেয়ে অবশেষে উদ্যোগী হয়েছে বিদেশমন্ত্রক।