ভুটানে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী হতাশ শিলিগুড়ির ফলে
চূড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্যেই কাটল মুখ্যমন্ত্রীর ভুটান সফরের তৃতীয় দিন। কিন্তু মন পড়ে রইল রাজ্যেই। দিনভরই মুখ্যমন্ত্রীর নজর ছিল ভোটের ফলের খবরে। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ফলে যে হতাশাই বাড়ল, মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও তা স্পষ্ট।
ওয়েব ডেস্ক: চূড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্যেই কাটল মুখ্যমন্ত্রীর ভুটান সফরের তৃতীয় দিন। কিন্তু মন পড়ে রইল রাজ্যেই। দিনভরই মুখ্যমন্ত্রীর নজর ছিল ভোটের ফলের খবরে। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ফলে যে হতাশাই বাড়ল, মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও তা স্পষ্ট।
উত্তরবঙ্গের সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দিনভর ভুটানের রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সীমান্ত পেরিয়ে হামলা আটকাতে নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে কথা বলেন ভুটানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গেও। কিন্তু দিনভর মন পড়ে ছিল ভোটের ফলের দিকেই। প্রকাশ্যে কিছু না বললেও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ফল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে হতাশ, তা মোটের ওপর পরিষ্কার।
ঘনিষ্ঠ মহলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের সার্বিক ফলে খুশি তিনি। শিলিগুড়িতেও মহকুমা পরিষদ ছাড়া পঞ্চায়েতের বাকি ফলে খুশি। উদ্বিগ্ন শুধু শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ফল নিয়ে।
উত্তরবঙ্গের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব এবং অরূপ বিশ্বাসকে ভুটান সফরে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভোটের পরে গৌতম দেব মুখ্যমন্ত্রীকে যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন, তার থেকে এতটা খারাপ ফলের আভাস পাননি তিনি। শিলিগুড়ি পুরনিগমের চেয়ে এবার ভাল ফলের আশাই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রাম পঞ্চায়েতেও ভালো ফলের আশায় ছিলেন। পুরনিগমে বামেদের জয়ের পরে একাধিকবার শিলিগুড়ি সফরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। তারপরেও এতবড় ধাক্কা? এই নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, বিধানসভা ভোটের আগে এই ফল যে তাঁকে ভাবাচ্ছে, তা স্পষ্ট।
এর পাশপাশি তিন তারিখের ভোটে একমাত্র শিলিগুড়িতেই কোনও অভিযোগ তোলেনি বিরোধীরা। ফলে শান্তিপূর্ণ ভোট হলে বিরোধীরা যে জয়ী হতে পারে , শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ফল সেই বার্তাও দিচ্ছে। এই বিষয়টিও চিন্তায় রাখবে মুখ্যমন্ত্রীকে।
তৃণমূল শিবির সূত্রে খবর, গৌতম দেবকে সরিয়ে না দিলেও, উদয়ন গুহকে শিলিগুড়ির বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। সবমিলিয়ে শিলিগুড়িই কি শুধু ব্যতিক্রম? নাকি ভোটে উত্তরবঙ্গজুড়েই এভাবে ধাক্কা খেতে পারে তৃণমূল? শিলিগুড়ির ফল কি শুধুই নির্দিষ্ট কোনও মন্ত্রীর ব্যর্থতা? না কি দলের সামগ্রিক ব্যর্থতার নজির? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।