ইলেকট্রিক চুল্লিতে ঢোকার এবং মায়ের গর্ভ থেকে জন্মের মুহূর্তের স্বাদও এখন পাওয়া যাচ্ছে!
কোনওদিন কোনও প্রিয়জনকে নিজের হাতে শেষবার ইলেকট্রিক চুল্লির দিকে তাঁর নিথর শরীরটাকে এগিয়ে দিয়েছেন? তারপর কান্নায় ভেঙে পড়েছেন? কখনও মনে হয়েছে যে, এই অভিজ্ঞতা কেমন হয়? ওই প্রাণহীন শরীরটা আগুনের লেলিহান শিখার মধ্যে পড়ে কীভাবে মুহূর্তে ঝলসে যায়?
ওয়েব ডেস্ক: কোনওদিন কোনও প্রিয়জনকে নিজের হাতে শেষবার ইলেকট্রিক চুল্লির দিকে তাঁর নিথর শরীরটাকে এগিয়ে দিয়েছেন? তারপর কান্নায় ভেঙে পড়েছেন? কখনও মনে হয়েছে যে, এই অভিজ্ঞতা কেমন হয়? ওই প্রাণহীন শরীরটা আগুনের লেলিহান শিখার মধ্যে পড়ে কীভাবে মুহূর্তে ঝলসে যায়?
এবার বাস্তবেও অর্জন করা যাবে এমন অভিজ্ঞতা। হ্যাঁ, আপনি ইলেকট্রিক চুল্লির মধ্যে চলে যাবেন শবের মতো শুয়ে শুয়ে। চারপাশে দাউ দাউ করে আগুনের হলকা আপনাকে পুড়িয়ে খাক করে দিতে চাইবে। কিন্তু আপনার কিছু হবে না। আপনি ঠিক সময় মতো বাইরে চলে আসবেন কোনওরকম চোট আঘাত ছাড়াই। মাঝখান থেকে জীবনের অন্যতম সেরা পাওনার মতোই আপনার অর্জন করা হবে, মরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা!
ভাবছেন, এসব কী আজগুবি বলছি! না, না, কোনও আজগুবি কথা নয়। এমনটাই সত্যিই শুরু হয়েছে। জন্যান্ত অবস্থাতেই শশ্মানযাত্রার অভিজ্ঞতা পাওয়া। শুরু হয়েছে চিনের লু সিউয়িই শহরে। শুধু কী মরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ইলেকট্রিক চুল্লির মধ্যে পৌঁছে যাওয়া!না, আছেও আরও মজার ‘রাইড’। আপনার জন্মের অভিজ্ঞতা তো আর আপনি জ্ঞানত অনুভব করতে পারেননি। সেটা আপনার মনেও নেই।
তাই এখানেই আপনি পেতে পারেন পুর্ণজন্মের অভিজ্ঞতা। একটি অতি ক্ষুদ্র ছিদ্রর মধ্য দিয়ে আপনাকে বের করে দেওয়া হবে এমনভাবে, যেভাবে আপনার জন্ম হয়েছিল। অর্থাত্ একই জায়গায় গিয়ে আপনি জন্মানোর এবং মৃত্যুর পর চিতায় যাওয়ার অভিজ্ঞতার স্বাদ পেতে পারেন।
এক ভদ্রলোক ঢুকেছিলেন, এই ইলেকট্রিক চুল্লি এবং পুর্ণজন্মের অভিজ্ঞতা নিতে। তাঁর কথা, ‘এ এক দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। জানি না, মরে যাওয়ার পর সেদিন আর এসব বুঝতে পারব কিনা, তবে আজ অদ্ভূত লাগলো। শুয়ে শুয়ে ওই জলন্ত ঘরে ঢুকে পড়েই মনে হল এক মুহূর্তের জন্য সত্যিই আমি আর নেই। আবার যখন নতুন জন্ম নেওয়ার ওই ছিদ্র দিয়ে বেরোলাম, কী আনন্দ যে হল। মনে হল, নবজন্ম হয়েছে আমার।’
এত কিছু পরে কী ভাবেছন, একবার যাবেন নাকি জীবনের চরম দুই অভিজ্ঞতার স্বাদ নিতে? যেতেই পারেন। আজ পর্যন্ত বিভিন্ন পার্কে গিয়ে অনেক রাইডই চেপেছেন। কিন্তু এমন জিনিসের স্বাদ যে সবকিছুর আলাদা হবে, তা বলাইবাহুল্য। আর যদি মনে হয়, চিনে গিয়ে এই অভিজ্ঞতার শরিক হতে আপনার অনেক টাকা খরচ হবে, সে টাকা আপনার কাছে এখন নেই। তাহলেও চিন্তা করতে হবেন না। চিনের প্রোডাক্ট আর আমাদের বাজারে আসতে কবেই বা দেরি হয়েছে! তাই হতেই পারে খুব শীঘ্রই আপনি এমন অভিজ্ঞতার স্বাদ পেতে পারেন, আপনারই শহরে বসে। সেদিন কিন্তু এই অভিজ্ঞতা চেখে দেখার সুযোগ মিস করবেন না।