রক্তাক্ত মিশরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২৫

মিশরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫২৫। নিহতদের অধিকাংশই মুরসি অনুগামী। মুসলিম ব্রাদারহুড সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনেছে। তাদের দাবি, নিহতের সংখ্যা অন্তত ২ হাজার ।

Updated By: Aug 15, 2013, 09:52 PM IST

মিশরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫২৫। নিহতদের অধিকাংশই মুরসি অনুগামী। মুসলিম ব্রাদারহুড সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনেছে। তাদের দাবি, নিহতের সংখ্যা অন্তত ২ হাজার ।
সরকারি তরফে প্রথমে মৃতের সংখ্যা ৫৬ বলে দাবি করা হয়। বৃহস্পতিবার অবশ্য মিশরের স্বাস্থ্য মন্ত্রক স্বীকার করে নিয়েছে, সংঘর্ষে ৫২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখমের সংখ্যা অন্তত ২ হাজার। গতকাল মুরসি অনুগামীদের শিবিরে হঠাত হামলা চালায় সেনাবাহিনী। মুরসী অনুগামীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ধুন্ধুমার সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে মিশরে জরুরি অবস্থা জারি হয়। 
ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসি অনুগামীদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত ছিলই মিশর। অগ্নিগর্ভ মিশর নতুন করে রণক্ষেত্রর চেহারা নিল বুধবার। মুরসি অনুগামীদের দুটি বিক্ষোভ শিবিরে আচমকা সেনাবাহিনী হামলা চালায় । বুলডোজার নিয়ে শিবিরগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশে জড়ো হয় সেনা । মুরশি অনুগামীদের ছত্রভঙ্গ  করতে নির্বিচারে কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছোঁড়ে তারা। মুরসি অনুগামীদের সঙ্গে শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ । সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলেছে মুসলিম ব্রাদারহুড। রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। সরকারের স্বীকার করে নেওয়া মৃতের সংখ্যা মানতে নারাজ মুসলিম ব্রাদারহুড। মুরসি অনুগামীদের দাবি, সেনাবাহিনীর গণহত্যায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত দু হাজার জনের। পরিস্থিতি সামাল দিতে মিশরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এদিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসির আটকের মেয়াদ আরও তিরিশদিন বাড়ানো হয়েছে। দুহাজার এগারো সালে খুন এবং জেল ভাঙার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
   

.