সাভারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪০, নিখোঁজ হাজার
ঢাকায় বহুতল ভেঙে মৃত্যুর সংখ্যা ঢাকার কাছে সাভারে বহুতল ভেঙে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৪০। এখনও নিখোঁজ প্রায় এক হাজার মানুষ। ধবংসস্তূপ সরিয়ে বেশকিছু দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলির অধিকাংশই এতটা বিকৃত হয়ে গেছে যে শণাক্তকরণের কাজ করা যায়নি। দেহগুলি উদ্ধারের পর একটি স্কুলের সামনে রাখা হয়েছে। স্কুলের বাইরে দেওয়া হয়েছে নিখোঁজদের নামের তালিকাও। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। ঢাকার সাভারে বহতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় উদ্ধার কাজ চলছে জোরকদমে। শনিবারও ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হয়েছে একের পর এক দেহ। একযোগে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা, দমকল, সিভিল ডিফেন্স এবং বিজিবি। উদ্ধারকাজে সমন্বয়ের কোনও অভাব নেই বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্তা। শনিবার দুপুরে হালকা বৃষ্টির মধ্যেও উদ্ধারকাজ হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি স্কুলের বাইরে নিখোঁজদের ছবি টাঙানো হয়েছে। সেখানে উদ্বিগ্ন আত্মীয়-পরিজনদের ভিড়। স্বজন হারানোর কান্না।
গত বুধবার সাভারে নয়তলা বাড়িটি তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে। সেই সময় বাড়ির ভেতরে প্রায় সাড়ে তিনহাজার মানুষ ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আশার কথা হল শুক্রবারের পর শনিবারও ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে বেশকয়েকজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ফলে উদ্ধারকাজে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছেনা। কংক্রিট কেটে গর্ত তৈরি করে চলছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তূপের নীচে জীবিত অবস্থায় আটকে থাকা পনেরো জনকে শুকনো খাবার, জল এবং অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ। শনিবার বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় রানা প্লাজার দুই কারখানা মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তবে বাড়ির মালিক যুবলীগ নেতা সোহেল রানাকে খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে পুলিস। তাঁকে গ্রেফতার, নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণের দাবিসহ দশদফা দাবির ভিত্তিতে দোসরা মে দেশজুড়ে হরতালের ডাক দিয়েছে বামপন্থী দলগুলি। এর পাশাপাশি ২৮, ২৯ এবং ৩০ তারিখ দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখাবে তারা।