হাসপাতালের বাইরে মানুষ-বাবার জন্য ৬ দিন উদ্বিগ্ন অপেক্ষা বনসুকের
হাচিকোর নয়া অবতার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কুকুর প্রভুভক্ত হয়, সারা পৃথিবী তা জানে। কিন্তু তাই বলে অসুস্থ 'প্রভু' থুড়ি অসুস্থ মানুষ-বাবার জন্য হাসপাতালের বাইরে সারমেয়-সন্তানের উদ্বিগ্ন অপেক্ষা? নাহ্! এমনটা খুবই আশ্চর্যের।
প্রায় গল্পের মতো শোনালেও, গল্প নয়; ঘোর এই সত্যি ঘটনাটি ঘটেছে তুরস্কে (Turkey)।
এই আশ্চর্য করে দেওয়া সারমেয়-সন্তানের (Dog) নাম বনসুক (Boncuk)। তার মানুষ-বাবার নাম সিমাল সেনতুর্ক (Cemal Senturk)। তাঁর মস্তিষ্কের সমস্যা ধরা পড়ে। ১৪ জানুয়ারি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন থেকেই বনসুক তাঁকে অনুসরণ করে। বাড়ি থেকে অ্যাম্বুল্যান্স অনুসরণ করে হাসপাতাল পর্যন্ত চলে যায় সে। কিন্তু ভেতরে ঢুকতে পারে না। অপেক্ষা করতে থাকে বাইরে। এর পর থেকে সে প্রতিদিন হাসপাতালের গেটের কাছে এসে দাঁড়ায়।
Also Read: 'সঞ্জীবনী' পেয়ে মোদীকে ধন্যবাদ বোলসোনারোর
এদিকে চিকিৎসকেরা ঠিক করেন, সেনতুর্কের মস্তিষ্কে অপারেশন করতে হবে। জটিল অপারেশন। করা হয় সেই অপারেশন। চট করে ছাড়া পান না তিনি। ছ'দিন লেগে যায়। সাতদিনের মাথায় বনসুকের মানুষ-বাবা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। হাসপাতাল থেকে বেরতেই 'বাবা'কে দেখে আনন্দে লুটিয়ে পড়ে বনসুক। মানুষ-বাবাও খুশি হন তাঁর প্রিয় পোষ্যকে দেখে। গোটা ঘটনাটি গভীর ভাবে ছুঁয়ে গিয়েছে হাসপাতালকর্মীদের। মনুষ্যেতর এক প্রাণীর 'মানবিক' এই আচরণ দেখে সকলেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
এ-জাতীয় একটা অন্য ঘটনার নজির অবশ্য আছে বিশ্বে। সেই ঘটনাটি জাপানের (japan)। ১৯২৫ সালের কথা। সে দেশে মালিকের মৃত্যুর পর তাঁর প্রিয় পোষ্য প্রভুর জন্য টানা ৯ বছর অপেক্ষা করেছিল! তার নাম ছিল-- 'হাচিকো'। হাচিকো (Hachiko) প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশনে যেত তার মালিক ফিরবে বলে।
Also Read: জুটল 'মিথ্যেবাদী প্রেসিডেন্টে'র তকমা, ৩০,৫৭৩ বার ভুয়ো দাবি ট্রাম্পের