মূর্তি ভাঙচুরের আশঙ্কা! বাংলাদেশে পালা করে চলছে দুর্গাপ্রতিমা পাহারা
পুজো আয়োজকরা নিজেরাই উদ্যোগ দিয়ে প্রতিমা পাহারা দিচ্ছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলাদেশের ১১টি জেলায় ১৩টি মন্দিরে দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে একাধিক জায়গায় পালা করে প্রতিমা পাহারা দেওয়া শুরু হয়েছে। মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া নজির বাংলাদেশের তেমন নেই। তাই পুজো আয়োজকরা নিজেরাই উদ্যোগ দিয়ে প্রতিমা পাহারা দিচ্ছেন। প্রতি বছরই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় দুর্গাপ্রতিমা ভাঙার ঘটনার কথা শোনা যায়। কিন্তু সেই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা তেমন প্রচারিত হয় না। তাই প্রতিমা ভাঙচুরের আশঙ্কায় ভোগেন পুজো উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুন- ৭০ বছরের পুরনো মামলায় হার পাকিস্তানের! নিজামের ৩০০ কোটি টাকা পাবে ভারতই
বাংলাদেশের গাজীপুর শহর থেকে প্রায় ২১ কিলোমিটার দূরে ভাওয়ালগড় ইউনিয়নে মনিপুরী উত্তরপাড়া গ্রামের একটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। সপ্তাহ তিনেক আগে সেখানে প্রতিমা ভাঙচুর হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। হামলার পর এলাকার বাসিন্দারা আশঙ্কায় রয়েছেন। নতুন করে মূর্তি গড়ার কাজ শুরু করা হয়েছিল। সেই গ্রামের মন্দিরে দুর্গা পুজো হয় প্রায় এক দশক ধরে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই প্রথমবার তাদের মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, দুর্গাপুজো শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রামবাসীরা পালা করে প্রতিমা পাহারা দেবেন। একজন গ্রামবাসী বললেন, প্রতিমার মাথা ভেঙে মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছিল। উত্তরপাড়া গ্রামে দেড়শ হিন্দু পরিবার এবং চারশ'র মতো মুসলিম পরিবারের বাস। মসজিদ এবং মন্দিরের মাঝেও দূরত্ব বেশি নয়। সেই গ্রামে হিন্দু-মুসলমানের কখনও কোনও দ্বন্দ্ব হয়নি বলে জানালেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন- ভারত রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় পেঁয়াজের ঝাঁঝে ‘চোখে জল’ বাংলাদেশের
স্থানীয় পুলিসের দাবি, মন্দিরের জমি নিয়ে বিবাদের জেরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে সেই গ্রামে হিন্দু-মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে যে সম্প্রীতি রয়েছে তা মেনে নিল পুলিসও। গ্রামবাসীরা আবার মন্দিরের জমি নিয়ে বিবাদের তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছেন।