ফের অশান্ত মিশর
হোসনি মুবারকের পদত্যাগেও যেন শান্তি ফিরছে না মিশরে। গত কয়েকদিন ধরে এই ইস্যুতে আবারও রাজপথে নেমে আন্দোলনে সামিল কয়েক হাজার মানুষ। সোমবার বিক্ষোভের তৃতীয় দিনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় পুলিসের। হিংসায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পঁয়ত্রিশ।
হোসনি মুবারকের পদত্যাগেও যেন শান্তি ফিরছে না মিশরে। গত কয়েকদিন ধরে এই ইস্যুতে আবারও রাজপথে নেমে আন্দোলনে সামিল কয়েক হাজার মানুষ। সোমবার বিক্ষোভের তৃতীয় দিনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় পুলিসের। হিংসায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পঁয়ত্রিশ। আহত হয়েছেন দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ। এঅবস্থায় মিশরের সেনা সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আঠাশে নভেম্বরেই হবে ভোটগ্রহণ। এ বছরের ২৮ জানুয়ারি কায়রোর কেন্দ্রস্থল তাহরির স্কোয়্যারে যে আন্দোলন জন্ম নিয়েছিল, সেটাই ছিল আরব বসন্তের শুরু। তার জেরেই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন হোসনি মুবারক। অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে মিশরের সুপ্রিম কাউন্সিল অফ আর্মড ফোর্সেস। এবার তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। চলতি মাসের আঠাশ তারিখ মিশরে সাধারণ নির্বাচন। অথচ ক্ষমতাসীন সেনা কাউন্সিলের ঘোষণা, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরই ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। যদিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন ঘোষণা এখনও করেনি সেনা কাউন্সিল। সাধারণ মানুষের আশঙ্কা, সংসদীয় নির্বাচনের পরেও দেশের কর্তৃত্ব নিজেদের হাতে রাখতেই, সেনা সরকারের এটা একটা কৌশল। এরই প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরে কায়রোর তাহরির স্কোয়্যার অবস্থান বিক্ষোভে সামিল কয়েক হাজার মানুষ। শনিবার হঠাত্ই তাঁদের হঠাতে গেলে, রায়ট পুলিসের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। হিংসায় কয়েকজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার জেরে নতুন করে অশান্ত মিশর। রবিবারও দফায় দফায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষ হয়। সোমবার ছিল বিক্ষোভের তৃতীয় দিন। এদিন সকাল থেকে আবারও অশান্ত হয়ে ওঠে তাহরির স্কোয়্যার। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও গুলি চালায় রায়ট পুলিস। ইন্টারনেট এবং ফেসবুকের দৌলতে তাহরির স্কোয়্যারের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে দেশের অন্যান্য প্রান্তে। ফলে দিন দিন বাড়ছে সমর্থন। এখন শুধু কায়রো নয়। মিশরের অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভের আঁচ। এঅবস্থায় মিশরের সেনা সরকার জানিয়ে দিয়েছে, যে কোনও অবস্থাতেই ওই দিনই ভোট নেওয়া হবে মিশরে।