James Webb Telescope: আগামী দিনে মানুষকে আরও কী উপহার দিতে পারে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ?
আকাশগঙ্গার সব চেয়ে আলোকিত নক্ষত্রের বাড়ি `কারিনা নেবুলা। ইনফ্রারেডে দেখা গেছে, নীহারিকাটিতে শত শত নক্ষত্রের বিন্দু বিন্দু আলো, যা আগে কখনো জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দেখেননি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সৃষ্টির আদিকালের ছবি ধরে দিয়েছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। যা দেখে বিস্মিত, মুগ্ধ, স্তম্ভিত বিশ্ববাসী। সৃষ্টির রহস্যসৌন্দর্যে নতুন করে মন মজেছে বিশ্বের-- সাধারণ মানুষ থেকে বিজ্ঞানীর। তবে পাশাপাশি জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ নিয়েও কৌতূহলের অন্ত নেই। প্রচুর চর্চা হচ্ছে, এই টেলিস্কোপ নিয়ে।
গভীর মহাকাশের গোপন রহস্যের ছবি পাঠানো এই টেলিস্কোপটির কার্যকারিতা নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস একটি প্রতিবেদনই প্রকাশ করে ফেলেছে। কী সেগুলি? জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে আগামি দিনে কী কী জানা সম্ভব হবে, তা লেখাটিতে বিশদে রয়েছে। তারই কয়েকটি:
মহাকাশের অপ্রত্যাশিত আবিষ্কার সম্ভব হবে
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ স্টিফানস কুইন্টেট নামক ছায়াপথগুচ্ছের ছবি সামনে এনেছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। এ ছাড়া গ্যাস ও ধূলিকণায়ভরা মৃত নক্ষত্রের একটি সমাধিক্ষেত্রও সে দেখাতে সক্ষম হয়েছে। তবে সব চেয়ে আকর্ষণীয় ছবি হতে পারে 'কারিনা নেবুলা'। ধূলিকণার একটি বিস্তীর্ণ ঘূর্ণমান মেঘ, যা নক্ষত্রের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত। আমাদের আকাশগঙ্গার সবচেয়ে আলোকিত এবং বিস্ফোরক নক্ষত্রের বাড়ি এটি। ইনফ্রারেডে দেখা গেছে, নীহারিকাটিতে শত শত নক্ষত্রের বিন্দু বিন্দু আলো, যা আগে কখনো জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দেখেননি।
দূরবর্তী গ্রহগুলির বায়ুমণ্ডলের তথ্য জানা যাবে
নাসা জানিয়েছে, ১১৫০ আলোকবর্ষ দূরে ডব্লিউএএসপি-৯৬বি নামে এক গ্যাসীয় গ্রহ রয়েছে। সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে ঘিরে আবর্তন করা উষ্ণ বায়ুমণ্ডলের পৃথিবীসদৃশ ওই গ্রহে মেঘ ও কুয়াশা থাকার প্রমাণও মিলেছে। নাসার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ডব্লিউএএসপি-৯৬বি-কে বিস্তারিত ভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে এই টেলিস্কোপের সৌজন্যেই। সেখানে যে বাষ্প, কুয়াশা ও মেঘ রয়েছে, তার প্রমাণ আগে পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এবং এই ভাবে আরও ছোট বসবাসযোগ্য পৃথিবীসদৃশ গ্রহের সন্ধান মিলতে পারে।
মহাবিশ্বের অতীতের ঘটনাপ্রবাহ জানা যাবে
সবচেয়ে দূরবর্তী আদি নক্ষত্রগুলিকে মানুষ এখন যেভাবে দেখছে, জেমস ওয়েব টেলিস্কেোপ দিয়ে দেখলে তার চেয়ে সেগুলিকে অনেক ভিন্নরূপে ও স্পষ্ট রূপে দেখতে পারবে। আদি নক্ষত্রগুলি বিগ ব্যাং থেকে পাওয়া অতিরিক্ত অবশিষ্ট হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম দিয়ে গঠিত ছিল। এগুলি পরে সূর্যের চেয়ে বড় হয়ে উঠতেও পারে আবার কৃষ্ণগহ্বরের রূপও নিতে পারে। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ থেকে প্রাপ্ত এই সব আদি মহাজাগতিক বস্তুর ছবি নিয়ে আরও গবেষণা করা হলে আরও অনেক নতুন তথ্য পাওয়া যাবে।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)
আরও পড়ুন: Life Expectancy in India: ভারতে কমছে গড় আয়ু, কোন ভয়ংকর ঘটনার জেরে?