সৌরভ পাল: কিউবা তখন সূর্যের মুখোমুখি হয়নি। নিঝুম রাত। ঘুমিয়ে আছে কিউবা। জেগে আছে একটাই মানুষ। চোখের পাতা দুটো তখনও স্থির। চেয়ে আছেন ফিদেল। নিশ্বাস নেওয়ার সময় ফুরিয়ে আসছে, অনুভব করতে পেরেছিলেন বহুদিন আগেই। এবার প্রহর গুনতে শুরু করলেন। না, আর নয়। ব্যাটনের দায়িত্ব অনেক দিন আগেই দিয়ে দিয়েছিলেন ভাইয়ের হাতে, এবার পৃথিবী থেকে মুক্তির পথে যাত্রা শুরু করেছেন মানব মুক্তির পথ দেখানো নায়ক ফিদেল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



মনে পড়ছে, খুব মনে পড়ছে সেই প্রথম কান্না। চোখের সামনে ভাসছে ১৯৫৯ সালের কিউবান বিপ্লবের রোমহর্ষক স্মৃতি। বলিভিয়া, গেরিলা যুদ্ধ। বন্ধু চে যেন হাত বাড়িয়ে রয়েছেন, এসো ফিদেল। চে গুয়াভারাকে যেন চোখের ইশারায় বুঝিয়ে দিলেন, 'চুরুট'টা ধরিয়ে রাখো, কাউন্টারটা নেব কিন্তু।' কল্পনায় তখন মৃদু হাসি চে গুয়েভারার। চে, আর দশ সেকেন্ড দাও, দশটা অতীতকে একবার শেষ বার দেখেনি। 



 


১৯২৬: কিউবার দক্ষিণ-পূর্ব ওরিয়েন্টে প্রোভিন্স। (আমার জন্মভিটে)


১৯৫৩: বাতিস্তা শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, কারাবাস। (জেল বন্দি ফিদেল)


১৯৫৫: জেল থেকে মুক্তি হল অস্ত্র সংবরণ চুক্তি স্বাক্ষর করে। (জেল থেকে মুক্ত ফিদেল)


১৯৫৬: বন্ধু চে'র সঙ্গে গেরিলা আন্দোলন শুরু। (গেরিলা আন্দোলনের কাণ্ডারী ফিদেল)


১৯৫৯: বাতিস্তা শাসনকে পরাজিত করে কিউবার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ। (কিউবার প্রধানমন্ত্রী ফিদেল)


১৯৬১: আমেরিকার CIA-র মদতে ফিদেলের ওপর আক্রমণ প্রতিহত করা। 


১৯৬২: সোভিয়েত রাশিয়ার সঙ্গে নিউক্লিয়ার চুক্তি স্বাক্ষর। 


১৯৭৬: কিউবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন ফিদেল কাস্ত্রো। 


১৯৯২: আমেরিকার সঙ্গে কিউবার  মধ্যস্থতায় না কিউবার। (ফিদেলের সিদ্ধান্ত, সাম্রাজ্যবাদী মার্কিনদের সঙ্গে সন্ধি নয়) 


২০০৮: কিউবার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন ফিদেল কাস্ত্রো। 


 


(ফিদেল কমিউনিস্ট পার্টি অফ কিউবার প্রথম সম্পাদক যিনি চার দশক, ১৯৬১ থেকে ২০১১ সাল এই আসনে কাজ করেছেন)



চোখ বন্ধ করলেন কিংবদন্তি কমিউনিস্ট ফিদেল কাস্ত্রো। একটা অনন্তকাল বিশ্রামের জন্য তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন চিরতরে।