USCIRF Report: ভারতে 'ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই'? কেন আবার একথা বলল আমেরিকার সংস্থা?

USCIRF Report on Religious Freedom in India: ভারতের সব থেকে গর্বের জায়গা যেটা সেখানেই এই নিয়ে চারবার আঘাত। আঘাত এল আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র থেকে। 'ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম' বলল, ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অপরাধে যারা অপরাধী জো বাইডেনের সরকার যেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়!

Updated By: May 3, 2023, 11:55 AM IST
USCIRF Report: ভারতে 'ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই'? কেন আবার একথা বলল আমেরিকার সংস্থা?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:  এই নিয়ে চতুর্থবার। ভারতের সব থেকে গর্বের জায়গা যেটা সেখানেই এই নিয়ে চারবার আঘাত এল। আঘাত এল আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র থেকে। যা, সন্দেহ নেই, ভারতের মতো দেশের পক্ষে মোটেই সম্মানজনক নয়, বরং যথেষ্ট উদ্বেগের। ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করল আমেরিকার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক কমিশন ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম বা ইউএসসিআইআরএফ (USCIRF)। 
 
 
গোটা বিশ্বে ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর নজর রাখার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সংস্থাটি। সম্প্রতি তারা তাদের এক রিপোর্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকারকে জানিয়েছে ভারত সরকারের কোন কোন সংস্থা এবং সেগুলির কোন প্রধানস্থানীয় ব্যক্তি ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের দোষে দোষী। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অপরাধে যাঁরা অপরাধী ইউএসসিআইআরএফ জো বাইডেনের সরকারকে সেই সংস্থাগুলির ওই প্রধানস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অনুরোধও করেছে! 
 
সব চেয়ে মর্যাদাহানিকর হল, ইউএসসিআইআরএফ তাদের এই বার্ষিক রিপোর্টে ভারতকে এক ‘বিশেষ উদ্বেগজনক দেশ’ হিসেবে ঘোষণা করার জন্যও আমেরিকার বিদেশ দফতরকে সুপারিশ করেছে! এবং দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রশ্নটি তোলার জন্যও তাদের চাপ দিয়েছে সংস্থাটি।
 
 
২০২০ সাল থেকে ভারত নিয়ে আমেরিকার সরকারকে একাধিক সুপারিশ করেছে ইউএসসিআইআরএফ। যদিও তখন সেই সব সুপারিশ মানেনি আমেরিকা। সংস্থাটির দাবি, গত কয়েক বছর ধরেই ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার দ্রুত অবনতি ঘটেছে। ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা বেড়েছে। এর আগে সংস্থাটি সরাসরি বলে দিয়েছিল, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য বিভিন্ন রকম নীতি প্রণয়ন করছে মোদী সরকার। সিএএ এবং এনআরসি-র কড়া সমালোচনাও করেছিল তারা।
 
অতএব, বোঝাই যাচ্ছে, ভারত সরকারের উপর চাপ বাড়ছে। এই রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকেই ব্যস্ত দিল্লি। তড়িঘড়ি এ নিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে তারা। রিপোর্টটিকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে দাবি করে তাদের যাবতীয় বক্তব্য খারিজ করেছে বিদেশ মন্ত্রক।

এর ফলে আগামী দিনে কী হবে? ভারত-মার্কিন সম্পর্ক কি নষ্ট হবে, না এই সংস্থার রিপোর্টকে উপেক্ষা করে দুই বড় শক্তি আন্তর্জাতিক দুনিয়ার নানা শর্ত নিজেদের মতো করে পূরণ করে নিজেদের ভিতরের বন্ধুত্ব অক্ষুণ্ণ রাখবে?  সময়ই বলবে। 

.