গ্রেফতার পারভেজ মুশারফ, গৃহবন্দী থাকার নির্দেশ আদালতের

অবশেষে গ্রেফতার করা হল পাকিস্তানের বিতর্কিত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফকে। ইসলামাবাদের অদূরে মুশারফের খামার বাড়ি থেকে আজ পাক পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার থেকে এই খামার বাড়িতেই গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন মুশারফ। গতকাল মুশারফের অন্তর্বর্তী জামিনের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। এর পরেই নাটকীয় ভাবে কোর্ট চত্বর থেকেই গা ঢাকা দেন তিনি।

Updated By: Apr 19, 2013, 10:00 AM IST

অবশেষে গ্রেফতার করা হল পাকিস্তানের বিতর্কিত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফকে। ইসলামাবাদের অদূরে মুশারফের খামার বাড়ি থেকে আজ পাক পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করার পর মুশারফকে আজ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ আব্বাস শাহের এজলাশে পেশ করা হয়। দু'পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আব্বাস শাহ দু'দিনের জন্য মুশারফকে গৃহবন্দী করে রাহার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিসকে।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহ দু'দিন পুলিসকে আরও নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছেন মুশারফকে যেন দু'দিন পর সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালতে পেশ করা হয়।
বৃহস্পতিবার থেকে এই খামার বাড়িতেই গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন মুশারফ। গতকাল মুশারফের অন্তর্বর্তী জামিনের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। এর পরেই নাটকীয় ভাবে কোর্ট চত্বর থেকেই গা ঢাকা দেন তিনি।
তাঁর বিরুদ্ধে চলা একাধিক মামলার মধ্যে গৃহবন্দী করে রাখার মামলার জামিনের আবেদন করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পরেই তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় আদালত। প্রায় বিদ্যুৎ বেগে নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে নিজের বুলেট প্রুফ গাড়িতে করে চম্পট দেন মুশারফ।
গতকাল সন্ধের আগেই খবর পাওয়া যায় নিজের ফার্মহাউসেই আছেন মুশারফ। ইসলামাবেদ শহরে অদূরে পরভেজ মুশারফের ফার্মহাউস ঘিরে পাক পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়। কিন্তু ৬৯ বছরের মুশারফকে গ্রেফতারের প্রসঙ্গে কাল রাত পর্যন্ত বিশেষ হেলদোল দেখাইনি পাক প্রশাসন। অবশেষে আজ সকালে তাঁকে ধরা হল।
মে মাসের সাধারণ নির্বাচনের আগে স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে দেশে ফেরেন প্রাক্তন এই সেনাপ্রধান। বেনাজির ভুট্টোকে হত্যার চক্রান্ত সহ একাধিক মামলা ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি আগাম জামিন নিয়েই পাকিস্তানে ফিরেছিলেন। ফরেই তিনি আবার ভোট যুদ্ধে অংশ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তবে এপ্রিলের ১৬-তেই সবকটি আসন থেকে মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়।
আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে করাচি, ইসলামাবাদ, চিত্রাল, কাসুর- এই চারটি কেন্দ্রে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য মনোনয়নপত্র পেশ করেছিলেন মুশারফ। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জাভেদ কাসুরি নির্বাচন কমিশনের কাছে মুশারফের বিরুদ্ধে ছ`টি অভিযোগ এনেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, সংবিধানের ৬২ ও ৬৩ ধারা অনুযায়ী মুশারফ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। বেশ কিছু মামলায় তাঁর নাম জড়িত রয়েছে।

 

.