Imran Khan: যে কোনও সময়ে গ্রেফতার হয়ে যেতে পারেন ইমরান খান...

প্রথম নোটিস পাঠিয়েছিল পাকিস্তানের শীর্ষ তদন্তকারী সংস্থা। নোটিস পেয়ে হাজিরা দেননি তিনি। এর পরের নোটিস গিয়েছিল গত শুক্রবার, ১৯ অগস্ট। কিন্তু সেই নোটিসেরও কোনও জবাব আসেনি তাঁর দিক থেকে। তিনি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী তথা পাকক্রিকেটের যুবরাজ ইমরান খান।

Updated By: Aug 21, 2022, 08:06 PM IST
Imran Khan: যে কোনও সময়ে গ্রেফতার হয়ে যেতে পারেন ইমরান খান...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রথম নোটিস গিয়েছিল ১০ অগস্ট। পাঠিয়েছিল পাকিস্তানের শীর্ষ তদন্তকারী সংস্থা ফেডেরাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এফআইএ। সেই নোটিস পেয়ে হাজিরা দেননি তিনি। তিনি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী তথা পাকক্রিকেটের যুবরাজ ইমরান খান। এর পরের নোটিস গিয়েছিল গত শুক্রবার, ১৯ অগস্ট। কিন্তু সেই নোটিসেরও কোনও জবাব আসেনি ইমরানের তরফে। শোনা যাচ্ছে, তিন নম্বর নোটিস দেওয়ার পরেও ইমরানের দিক থেকে কোনও জবাব না মিললে গ্রেফতার করা হতে পারে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা  তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই-এর সর্বময় কর্তা ইমরানকে। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নানা অভিযোগ উঠেছে ইমরানের বিরুদ্ধে। সেই সংক্রান্ত মামলার সূত্রেই এই নোটিস।

আরও পড়ুন: Russia-Ukraine: সাংঘাতিক কোনও হামলা চালাতে পারে রাশিয়া, স্বাধীনতা দিবসের আবহে তাই শঙ্কিত...

এই আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলাতেই ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে দ্বিতীয় নোটিসটি পাঠায় এফআইএ। সেই নোটিসের কোনও জবাব দেননি প্রাক্তন পাক প্রধান। ১০ অগস্টের নোটিসের প্রেক্ষিতে তদন্তকারী সংস্থার কাছে তো হাজিরা দেননি ইমরান। এর পর তদন্তকারী সংস্থার তরফে তিন নম্বর নোটিসটি পাঠানো হবে। আর সেই নোটিসেরও জবাব না দিলে ইমরানকে গ্রেফতার করা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এফআইএ, শোনা যাচ্ছে এমনই।

শোনা যাচ্ছে, ইমরান নোটিস পেয়ে শুধু যে হাজিরাই দেননি, তাই নয়, তিনি উল্টে এফআইএ-কে তাদের নোটিস প্রত্যাহার করতে বলেছে। রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে নাকি ইমরান বলেছেন, তিনি এসবের উত্তর দিতে বাধ্য নন। কোনও তথ্য পেশ করতেও বাধ্য নন। নোটিস প্রত্যাহার না করা হলে, তিনি এফআইএ-র বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবেন। যদিও তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করতে তাদের হাতে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।

তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ব্রিটেন ও বেলজিয়ামের পাঁচটি সংস্থা থেকে ইমরানের দলে অর্থ সরবরাহ করা হয়েছিল। অথচ পাক নির্বাচন কমিশনের হলফনামায় যা উল্লেখ করা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ইমরানের পিটিআই বেআইনি ভাবে ৩৪ জন বিদেশি নাগরিকের থেকে তহবিল সংগ্রহ করেছে। যাঁর মধ্যে রয়েছেন এক জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী। এই মামলায় ইমরানের দলকে 'শোকজ' করেছিল কমিশনের তিন সদস্যের বেঞ্চ। ইমরান ও তাঁর দলের থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

দেখা যাক, ব্যাখ্যা আসে কিনা। অথবা ইমরানের কথা মতো ব্যাখ্যা না দিয়ে তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে তিনি মামলা করেন কিনা। নাকি সরাসরি গ্রেফতার হয়ে যান তিনি!   

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.