লাদেন পাকিস্তানের হিরো, কাশ্মীরে হিংসা ছড়াতেই মুজাহিদিন, লস্কর-ই-তইবার তৈরি, বিস্ফোরক দাবি মুশারফের
কাশ্মীর প্রসঙ্গেও খুল্লামখুল্লা মন্তব্য করেন তিনি। কাশ্মীরিরা পাকিস্তানে এলে তাদের হিরো হিসাবে সম্ভাষণ করা হয়। তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে কাশ্মীরে অশান্তি পাকানোর মদত দেয় পাকিস্তান
নিজস্ব প্রতিবেদন: ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানের হিরো, অকপটে স্বীকার প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের। এমনকি কাশ্মীরে হিংসার পরিবেশ তৈরি করতে পাক মদতেই মুজাহিদিন, লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি সংগঠনগুলিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হত, এমনও মন্তব্য শোনা গেল মুশারফের কাছ থেকে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সাক্ষাত্কার ভিডিয়োর ক্লিপ টুইটার পেজে শেয়ার করেন পাক রাজনীতিবিদ ফারহতুল্লাহ বাবর।
ওই সাক্ষাত্কারে পারভেজ মুশারফ দাবি করেন, ১৯৭৯ সালে রাশিয়াকে আফগানিস্তান থেকে হটাতে জিহাদিদের বন্দুক তুলে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের স্বার্থেই অস্ত্র সরবরাহ, প্রশক্ষিণ দেওয়া হত। তখন ওসামা বিন লাদেন, আমন-অল-জ়াওয়াহিরি, জালালউদ্দিন হক্কানিরা পাকিস্তানের কাছে হিরো ছিল। এরপর বিশ্বের প্রেক্ষাপট পাল্টায়। দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টায়। মুশারফের কথায়, “আমাদের হিরো পরবর্তীকালে ভিলেনে পরিণত হয়।”
یہ ہیں وہ ریاستی پالیسی جس کی وجہ سے پشتون کو دہشتگرد کہاں گیا جس کی وجہ سے پشتون کا پورا نسل تباہ اور برباد ہوا جس کی وجہ سے پشتون IDPS بنے جس کی وجہ سے پشتونوں کے گھریں بازاریں ہسپتال سکول گہرائے گئے.اور آج بولتے ہیں کہ ریڈ لائن کراس نہ کریں@GulBukhari#SaveBuner4mStateTaliban pic.twitter.com/khjh7sy390
— Hamid Mandokhail (@HamidMandokhail) November 12, 2019
কাশ্মীর প্রসঙ্গেও খুল্লামখুল্লা মন্তব্য করেন তিনি। কাশ্মীরিরা পাকিস্তানে এলে তাদের হিরো হিসাবে সম্ভাষণ করা হয়। তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে কাশ্মীরে অশান্তি পাকানোর মদত দেয় পাকিস্তান। ভারতীয় সেনাকে প্রতিহৃত করতে মুজাহিদিন এবং লস্কর-ই-তইবার জিহাদি জঙ্গিদের প্রশক্ষিণ দেয় সে দেশের সেনা।
আরও পড়ুন- নাম কী? ট্রেন দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া শিশুটি খুঁজছে চেনা মুখ
পারভেজ মুশারফের এমন বিস্ফোরক দাবিতে প্রমাণিত, কাশ্মীরে হিংসা ছড়াতে কোনও ত্রুটি রাখেনি পাকিস্তান। তালিবান, মুজাহিদিন, লস্কর-ই-তইবা, হক্কানি নেটওয়ার্ক সবই পাকিস্তানের হাতে তৈরি জঙ্গি সংগঠন। যার অধিকাংশই ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন’ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, মুশারফের ওই সাক্ষাত্কার ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি জ়ি ২৪ ঘণ্টার পক্ষে।