নিজস্ব প্রতিবেদন: যুক্তরাজ্যে শেষ হয়েছে জি৭ সম্মেলন (G7 Summit)। কিন্তু উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। সম্মেলনে রয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ও জাপান। একাধিপত্যের ইঙ্গিত পেয়ে চিনের (China) বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী আমেরিকাসহ প্রতিটি দেশ। 'বিশ্বের বৃহৎ গণতন্ত্রগুলির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে চিন। জি৭ নেতাদের চিনকে দফায় দফায় প্রশ্ন করা উচিত। চিনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। সবাই একই কথা বলছে।' রবিবার এমনই বার্তা হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের (Jack Sullivan)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আগেই আভাস পাওয়া গিয়েছিল যে চিনের অর্থনীতি এবার আমেরিকাকেও ছাপিয়ে যাবে। প্রতিরক্ষাতেও তারাই সর্বোত্তম বলে ঘোষণা করে চিন। সেকারণে জি৭ সম্মেলনের শুরু থেকেই একযোগে চিনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে আসছে দেশগুলি। পাল্টা ব্যঙ্গের তীর ছুঁড়েছে চিনও। লন্ডনে চিনা দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেন, 'সেই দিন চলে গিয়েছে যখন গুটিকয়েক ছোট দেশ গোটা বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করতে পারত।' আর এই মন্তব্যে বিশ্বজুড়ে চিনের একাধিপত্য বিস্তারের মনোভাবই স্পষ্ট হয়েছে বলে মনে করেছে আমেরিকাসহ বাকি জি৭ রাষ্ট্রগুলি। দল বেঁধে চিনকে আটকাতে নামছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন: 'মায়ের কথা মনে পড়ে গেল,' Biden এর থেকে জিনপিং, পুতিনেরও খোঁজ নিলেন রানি Elizabeth



সুলিভান এ বিষয়ে বলেন,'চিনের এমন মন্তব্য খুবই দুঃখজনক। দেশের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলিকে যদি চিন ছোট বলে মনে করে, তাহলে বুঝতে হবে ওদের ধারণায় গন্ডগোল রয়েছে।' চিনের বিস্তার আটকাতে G7 সম্মেলন শেষে একাধিক অঙ্গীকার নেওয়া হয়। যার মধ্যে অন্যতম হল উন্নয়নশীল দেশগুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়ন। বেজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তেই এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলিতে চলা প্রকল্পে জোর দিতে চাইছে দেশগুলি। সব মিলিয়ে জি৭ বৈঠকে চিন বিরোধিতার রাস্তা আরও মসৃণ হল বলেই মনে করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর শাসনের অবসান, ইজরায়েলের নয়া প্রধানমন্ত্রী Naftali Bennett


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App