পাকিস্তানে তালিবান হামলা, নিহত ৯ পুলিশ কর্মী
অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজদের গুলিতে নিহত ৯ পুলিশ কর্মী! আজ ভোররাতে পাকিস্তানের লাহোরের ঘটনাটি ঘটে।
অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজদের গুলিতে নিহত ৯ পুলিশ কর্মী! আজ ভোররাতে পাকিস্তানের লাহোরের ঘটনাটি ঘটে। কয়েকদিন আগেই ইসলামাবাদ আফগানিস্তানে মোতায়েন ন্যাটো বাহিনীর রসদ সরবরাহ পথ খুলে দিতে সম্মত হয়। ঠিক তার পর পরই দ্বিতীয়বারের এই হামলা তালিবানের। এর অগে গত সোমবার তালিবানিরা ঠিক এই ধরনের আক্রমণ ঘটায় পঞ্জাব প্রদেশের এক সামরিক শিবিরে।
আগামী নির্বাচনের আগে সবচেয়ে জনবহুল এই প্রদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করাই তালিবানিদের মুল লক্ষ্য। হ্যান্ড গ্রেনেড ও কালাশনিকভ রাইফেল নিয়ে বাইক ও গাড়িতে চেপে এসেছিল আক্রমণকারীরা বলে জানিয়েছেন পঞ্জাব পুলিশের কর্তা হাবিবুর রহমান।
ঘটনায় জীবিত এক প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ অনুযায়ী, `ভোররাতে ঘটা এই ঘটনার আকস্মিকতায় আমরা হকচকিয়ে যাই, কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের কয়েকজন রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।` ২৩ বছর বয়সী মহম্মদ রিজওয়ান শাহ নামে আহত ওই পুলিশকর্মী জানায় `আমরা ১৫ জন শুয়েছিলাম বাড়ির ছাদে, হঠাত্ই নীচ থেকে গুলির আওয়াজ শুনতে পাই। কয়েকজন কী হয়েছে দেখার জন্য নীচে যেতেই গুলিতে কেউ মারা যায়, আহত হয় কেউ কেউ। আমি ও কয়েকজন প্রাণের ভয়ে পাশের বাড়িতে ঝাঁপ লাগাই`। রিজওয়ান আরো জানায় প্রায় ৬ সপ্তাহ আগে তারা ওই জেলে এসেছিল প্রশিক্ষণ নিতে। পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত ওই বাড়িতেই তালিবানীরা এই নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ঘটনার জেরে ৯ জনের মতো আহত হয়েছেন।
তালিবানী এক গোষ্ঠীর দাবী, এই হত্যাকান্ডের পেছনে রয়েছে তারাই। গত সোমবারের ঘটনার ধাঁচেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও ঘটানো হবে। যতদিন না পর্যন্ত পাকিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালিবানদের উপর যৌথ বিমান হানার প্রক্রিয়া বন্ধ না করছে ততদিন এভাবে আরও হামলা চালানোর হুমকিও দিয়েছে তালিবানরা। এর আগেও ২০০৯ সালে লাহোরের গদ্দাফি ষ্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের উপর হামলা ও ২০১০-এ লাহোরের অনতিদূরে মানওয়ান পুলিস অ্যাকাডেমিতে আল-কায়দা-তালিবানি যৌথ হামলার ঘটনাও ঘটেছে। যার জেরে প্রাণ হারান কয়েকশো নিরীহ মানুষ।