Imran Khan Arrested: ইমরানের গ্রেফতারে অগ্নিগর্ভ একাধিক পাক শহর, লাহোর-রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা সদরে হামলা
Imran Khan Arrested: গ্রেফতারের আগে ইমরান খান আঙুল তুলেছেন সেনা ও আইএসআইয়ের দিকে। এমনকি এক ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের নেতত্বে তাঁকে ২ বার খুলের চেষ্টা হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তাতেই আরও খেপেছে জনাতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে সেনা ও পুলিস।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইমরান খানের গ্রেফতারের পর রাস্তায় নেমে পড়েছে ইমরান সমর্থকরা। লাহোর, রাওয়ালপিন্ডির রাস্তায় পুলিসের গাড়িতে হামলা চালাল ক্ষুব্ধ জনতা। লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে লাহোরে সেনা সদর দফতরে ঢুকে পড়ল মানুষজন। লাহোর ক্যান্টনমেন্টে কোর কমান্ডারের বাসভাবনে প্রবল ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করল ক্ষুব্ধ পিটিই সমর্থকরা। তাদের মুখে একটাই কথা, 'বলেছিলাম, ইমরান খানকে হেনস্থা করো না!'
আরও পড়ুন-অসমে বন্ধ হচ্ছে মুসলিমদের বহুবিবাহ! বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা
LAHORE CROWDS ATTACK CORPS COMMANDER HOUSE AFTER IMRAN KHAN ARREST. pic.twitter.com/7L1WAP9Zd6
— SHAHEEN SEHBAI (@SSEHBAI1) May 9, 2023
تحریک انصاف کے کارکنان جی ایچ کیو پہنچ گئے۔ pic.twitter.com/0S4TaLD0qr
— Bashir Chaudhary (@Bashirchaudhry) May 9, 2023
মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে ইমরান খানকে গ্রেফতার করে পাক রেঞ্জার্স। তাঁকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ পিটিআইয়ের। আদালত চত্বরে একটি ঘর থেকে ভাঙচুর করে ইমরান খানকে বের করে বর্মধারী রেঞ্জারসরা। এক জমি সংক্রান্ত মামলায় আজ ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজিরা দিতে এসেছিলেন ইমরান খান।
প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর গ্রেফতারের পরই দেশের বিভিন্ন শহরে রাস্তায় নেমে পড়ে বিক্ষুব্ধ পিটিআই সমর্থকরা। লাহোরে সেনার কড়া প্রহরা ভেঙে কর্প কমান্ডারের বাসভবনে ঢুকে পড়ে। লাঠিসোঁটা, পাথর দিয়ে প্রবল ভাঙচুর চালানো হয়। কর্প কমান্ডারের বাড়ির বাইরে প্রহরিদেরও প্রবল মারধর করে জনতা। লাহোরে সেনাবাহিনীর সদর দফতরের সামনে জড়ো হয় বিশাল জনতা। শুরু হয় পাথর নিক্ষেপ। এরপর জোর করে সদর দফতরে ঢুকে পড়ে প্রচুর মানুষ। এক পিটিআই সমর্থকের দাবি, আইএসআই-এর সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর সময়ে ২ বিক্ষোভকারীকে গুলি করে মেরেছে নিরাপত্তারক্ষীরা। মিঞাওয়ালি বায়ুসেনা ঘাঁটির সামনে একটি নকল বিমানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
অশান্তি ছড়িয়েছে পেশওয়ারেও। সেখাানে রেডিও পাকিস্তানের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। করাচি, ফইসলাবাদ, গুজরানওয়ালা, মুলতান, মরদানেও ছড়িয়ে পড়ে অশান্তি। রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা সদরে হামলা চালায় ক্ষুব্ধ মানুষজন। তবে সংযমের পরিচয় দেয় সেনা। ফলে বড়সড় কোনও অশান্তি হয়নি। রাওয়ালপিন্ডি ও করাচিতে পুলিসের উপরে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা।
গ্রেফতারের আগে ইমরান খান আঙুল তুলেছেন সেনা ও আইএসআইয়ের দিকে। এমনকি এক ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের নেতত্বে তাঁকে ২ বার খুলের চেষ্টা হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তাতেই আরও খেপেছে জনাতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে সেনা ও পুলিস।