অটোভাড়ার চেয়েও সস্তা ভারতের মঙ্গলযান, মার্কিন মুলুকে বুক ফুলিয়ে বললেন নমো
ওয়েব ডেস্ক: অটোভাড়ার থেকেও সস্তা ভারতের মঙ্গল অভিযান। নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ারে গর্বের সঙ্গে সেই সাফল্যের কথাই শোনালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী যুক্তি দেন, আহমেদাবাদে অটোয় চড়লেই খরচ দশ টাকা। তাহলে মঙ্গলযাত্রার খরচ অটোয় চড়ার থেকেও সস্তা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,ভারতের মঙ্গলযান মিশনে খরচ হয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকা। এই খরচে একটি হলিউডি ছবিও তৈরি হয় না। পৃথিবী থেকে মঙ্গল পর্যন্ত দূরত্ব হিসেব করলে, প্রতি কিলোমিটারে মঙ্গলযানের পিছনে খরচ হয়েছে সাত টাকা।
গোটা বিশ্ব আসে আমেরিকায়, কিন্তু গোটা বিশ্বে থাকে ভারতীয়রা (Entire world comes to US, but Indians live in entire world)। এভাবেই ম্যাডিসন স্কোয়ারে মন্ত্রমুগ্ধ বক্তৃতা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নির্বাচনী প্রচারের আগে দেশের প্রতিটি প্রান্তে ঠিক যে মেজাজে দেখা গিয়েছিল, রবিবারের ম্যাডিসন স্কোয়্যার গার্ডেনও ঠিক সেই চেহারাই দেখল নরেন্দ্র মোদীর। প্রাণশক্তিতে ভরপুর ভারতের প্রধানমন্ত্রী অনাবাসী ভারতীয়দের শোনালেন তাঁর স্বপ্নের ভারতের কথা, যে ভারত বিপুল সম্ভাবনায় উদ্দীপ্ত। শুধু অনাবাসী ভারতীয়দেরই নয়, ম্যানহাটানের বুকে দাঁড়িয়ে গোটা দুনিয়াকে শোনালেন ভারতীয় বাজারের ক্ষমতার কথা।
যে দেশ এতদিন তাঁকে ভিসা দেয়নি, সেই দেশের বাণিজ্য-রাজধানীর বুকে দাঁড়িয়ে রবিবার নরেন্দ্র মোদী অনাবাসী ভারতীয়দের কাছে মেলে ধরেছিলেন দেশের বাজারের বিশাল সম্ভাবনার কথা। যে দেশ গণতন্ত্রের শক্তিতে বলীয়ান, তারুণ্যে উদ্দীপ্ত।
মানুষ এতদিন শুধু সরকারের ওপরেই উন্নয়নের দায়িত্ব দিয়ে নিশ্চিত হয়ে থাকার অভ্যাস করে ফেলেছিল, কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর বার্তা--এ বার সরকার ও সাধারণ মানুষ উন্নয়নের কাজ করবে এক সঙ্গে।
বক্তব্যের শুরুতেই জানিয়েছিলেন, বড় স্বপ্ন নয়। ছোট ছোট পা ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তিনি। বারবার ঘুরেফিরে এল সেই ভরসার কথা। আশ্বস্ত করলেন অনাবাসীদের, বিশ্বাস যোগালেন দেশবাসীকেও। বললেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এমন কিছু করবেন না, যাতে তাঁর জন্য মাথা নিচু হয়ে যায় মানুষের।
রবিবারের ম্যাডিসন স্কোয়্যার গার্ডেনে নরেন্দ্র মোদীর পঁচাত্তর মিনিটের হিন্দি ভাষণের আগাগোড়া শুনে মনে হল, দেশের বাজারের সম্ভাবনার কথা হাজার কুড়ি প্রবাসী শ্রোতার সামনে তুলে ধরলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেটা তো একেবারে স্পষ্ট। কিন্তু তার আড়ালে ভারতীয় রাজনীতির এক দুরন্ত সিইও বিশ্বের আঙিনায় লিখে রাখলেন নিজের প্রখর বাণিজ্যবুদ্ধির বার্তা। শিখল গোটা দুনিয়া।