কারজাইকে হত্যার ষড়যন্ত্র, ধৃত ৬
প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে হত্যার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে ছ`জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল আফগানিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগ। ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অফ সিকিউরিটি-র মুখপাত্র লুত্ফুল্লা মশাল বলেছেন, ""শিক্ষিত এবং বিপজ্জনক এক দল শিক্ষক এবং ছাত্র প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের উপরে হামলার ষড়যন্ত্র করেছিল। এমনকী, তারা প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ করেছিল এবং তাঁরই এক জন দেহরক্ষীকে হত্যার কাজে নিযুক্ত করেছিল।
প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে হত্যার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে ছ`জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল আফগানিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগ। ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অফ সিকিউরিটি-র মুখপাত্র লুত্ফুল্লা মশাল বলেছেন, ""শিক্ষিত এবং বিপজ্জনক এক দল শিক্ষক এবং ছাত্র প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের উপরে হামলার ষড়যন্ত্র করেছিল। এমনকী, তারা প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ করেছিল এবং তাঁরই এক জন দেহরক্ষীকে হত্যার কাজে নিযুক্ত করেছিল।`` তিনি জানান, ধৃতদের সঙ্গে এক জন আল-কায়দা সদস্যের এবং উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সক্রিয় হাক্কানি নেটওয়ার্কের যোগাযোগ ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। ওই ছয়
সন্দেহভাজনকে গত সপ্তাহে ধরা হলেও তদন্তের স্বার্থে এত দিন কিছু জানানো হয়নি। হামলা চালানোর জন্য তারা গত মাসে প্রশিক্ষণও নেয় বলে জানিয়েছেন মশাল। এই ষড়যন্ত্রে আর কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন জড়িত কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। উল্লেখ্য, দু`হাজার দুইয়ে প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর কারজাইয়ের উপরে অন্তত তিন বার হামলার চেষ্টা হয়েছে। গত মাসে হাক্কানি নেটওয়ার্কের নাশকতার শিকার হয়েছেন প্রাক্তন আফগান-প্রেসিডেন্ট বুরহানুদ্দিন রব্বানি।
জুলাইয়ে নিজেরই নিরাপত্তা রক্ষীর গুলিতে নিহত হন কারজাইয়ের ভাই আহমেদ ওয়ালি কারজাই। এই সমস্ত ঘটনায় বারবার নাম জড়িয়েছে পাকিস্তানের। রব্বানির মৃত্যুর পর কাবুল সরকারি ভাবেই দাবি করেছে যে, আততায়ীরা পাকিস্তানের নাগরিক ছিল।