স্বদেশের আধিকারিকদের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে চিনের সঙ্গে বাণিজ্য-সম্পর্কে রাশের ইঙ্গিত কিমের
চিনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক একরকম ছিন্ন করার পথেই হাঁটতে চলেছেন কিম
নিজস্ব সংবাদদাতা: কোভিড-আবহে আশানুরূপ হয়নি দেশের ব্যবসানীতি। তাই রেগে গিয়ে দেশের প্রশাসক শাস্তি দিলেন সরকারি আধিকারিকদের।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর কোরিয়ায়। চিন থেকে পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় সে দেশের প্রেসিডেন্ট কিম জন উন দেশের শুল্ক দফতরের কয়েকজন উচ্চপদাধিকারীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছেন বলে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে।
করোনা-আবহের অজুহাতে চিনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে অবশ্য রাশ টেনেছে উত্তর কোরিয়া। সেই সূত্রেই আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের দাবি, চিনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক একরকম ছিন্ন করার পথেই হাঁটতে চলেছেন কিম।
প্রয়াত কিম জং ইলের সময়েই সে দেশে চিনা পণ্যের অবাধ আমদানি শুরু হয়েছিল। উনের জমানায় চিনের প্রতি বাণিজ্যনির্ভরতা আরও বাড়ে।
এই সেদিন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ায় আমদানি করা নব্বই শতাংশ পণ্যই আসত চিন থেকে। তবে ২০১৭ সালে পরমাণু কর্মসূচির জেরে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারি হলে বিষয়টিতে বদল আসে। চলতি বছরের গোড়া থেকেই দু'দেশের বাণিজ্য-সম্পর্কে ভাটা আসে। এশিয়া, ইউরোপ বা আফ্রিকার অনেক ছোট দেশের সঙ্গেও উত্তর কোরিয়ার চেয়ে অনেক বেশি টাকার ব্যবসা করে থাকে চিন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, উহানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরেই বেজিংয়ের উপর বিরক্ত হন উন। চিন-ফেরত কয়েকজন কোভিড-১৯ সংক্রমণের শিকার হওয়ার পরে যোগাযোগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেন কিম। আগামী জানুয়ারিতে উন চিনের বিরুদ্ধে আরও কিছু কড়া পদক্ষেপ ঘোষণা করতে পারেন বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। অতএব ধরে নেওয়াই যায়, আগামী দিনে আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কে শৈত্য আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: চিনের ব্রহ্মপুত্রের ওপর জলবিদ্যুৎ প্রকল্প! চিন্তায় ভারত