নিজস্ব প্রতিবেদন: 'আর্থ ডে', 'বসুন্ধরা দিবস' নামেও যা সম্যক পরিচিত, সেই দিনটি নিছক একটি উদযাপন দিন নয়। এটা অনেক বেশি করে শপথগ্রহণের দিন, প্রতিজ্ঞারক্ষার দিন। পরিবেশকে ভালোবাসার দিনও। তবে বছরের মাত্র একটি দিন তো পরিবেশকে ভালোবাসলে চলবে না। এটা সারাবছর ধরে চলা চাই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু সেটা না হয় শুরু হোক আজ, এই ২২ এপ্রিল থেকেই। পৃথিবী এখন দূষণ, উষ্ণায়ন, বৃক্ষচ্ছেদনে ভারাক্রান্ত। তার শিয়রে নানা ভয়ভীতি ছায়া। কোথাও হিমবাহ গলছে, কোথাও বাড়ছে সমুদ্রজলের তাপমাত্রা, কোথাও সবুজ কমছে, কোথাও বায়ুদূষণের মারণ থাবা-- সমস্যার কোনও শেষ নেই। আগামি নবজাতকের জন্য এ কোন পৃথিবী রেখে যাচ্ছে এ কালের মানুষ! 


নিজেদের ভুল শুধরে পৃথিবীকে আরও অনেক দিনের জন্য বিশুদ্ধ জল, বিশুদ্ধ বাতাস আর বিশুদ্ধ আলোর এক স্থান হিসেবে রক্ষা করার কর্তব্যই তাই এই মুহূর্তে মানবজাতির সব চেয়ে বড় কর্তব্য। এ বছরের আর্থ ডে-র থিম হল-- 'ইনভেস্ট ইন আওয়ার প্ল্যানেট'। এটাও ওই ভাবনাকেই সমর্থন করে। এখানে 'ইনভেস্ট' ঠিক ওই অর্থে 'বিনিয়োগ' নয়; এখানে বিনিয়োগ বলতে, নিজের ভাবনা চিন্তা সচেতনতাকে পৃথিবীর মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করা।


রাষ্ট্রসঙ্ঘ অবশ্য দিনটিকে 'ইন্টারন্যাশনাল মাদার আর্থ ডে' হিসেবে পালন করে। তারাও এ দিনটির একটি থিম ঠিক করেছে। এটা অনেক  সোজাসাপ্টা-- 'হারমনি উইথ নেচার'। অর্থাৎ, প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়া। প্রকৃতির নিজস্ব সুরে সুর মেলানো। 


'প্রকৃতিকে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করুন, তা হলেই আপনি সব কিছু ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।'-- অতি মূল্যবান এই কথাটি বলেছিলেন অ্যালবার্ট আইনস্টাইন। ১৯৭০ সালের ২২ এপ্রিল দিনটি প্রথম আর্থ ডে হিসেবে পালিত হয়েছিল। সেদিনের জন্য আইনস্টাইনের কথাটি যতটা প্রযোজ্য ছিল, সম্ভবত আজও তা সমান ভাবে প্রযোজ্য।  


চলুন, প্রকৃতিকে আরও নিবিড় ভাবে আরও ভালোবাসা ও সহমর্মিতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা শুরু করি আমরা, কীসে তার ভালো হয়, সেটা চিন্তা করি। আর এটা মনকে বিশ্বাস করাই যে, পৃথিবী ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকব! 


আরও পড়ুন: Earth Day 2022: ২০ বছরে জলবায়ুর পরিবর্তনে কোন চ্যালেঞ্জের মুখে পৃথিবী? মনে করাল Google Doodle


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)