এবার থেকে প্রাণঘাতী সব রোগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে মানুষকে! কেন বলল WHO...
স্মলপক্সের টিকা খুবই সীমিত রয়েছে। স্মলপক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে, এই শঙ্কা থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন এর টিকা মজুত করতে শুরু করেছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার কি তবে নতুন বিপদ? করোনার পরে কি মানুষকে আবার নতুন কোনও রোগের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই শুরু করতে হবে? এ কথা উঠছে কারণ, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ জুড়ে মাঙ্কিপক্সের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের ঘটনাকে এক বিশেষ 'সতর্কবার্তা' হিসেবে উল্লেখ করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের পেছনে রয়েছে মাঙ্কিপক্স নামের এক ভাইরাস। এটি স্মলপক্স জাতীয় ভাইরাস। করোনা অতিমারীর প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই এখনও পর্যন্ত ৭৫টি দেশে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ মাঙ্কিপক্স রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান 'হু'র প্রধান টেডরস আধানম ঘেব্রেয়েসুস। এরই মধ্যে মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্ব জুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করল সংস্থাটি।
সাক্ষাৎকারে 'হু'-র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন, মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ার এ ঘটনা আমাদের পক্ষে একটি সতর্কবার্তা। এবার থেকে সব সময় আমাদের প্রাণঘাতী ভয়ংকর সব রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
১৯৭৯-৮০ সাল থেকেই স্মলপক্সের টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে উল্লেখ করে ড. স্বামীনাথন বলেন, আজ আমাদের হাতে স্মলপক্সের যে টিকা রয়েছে তা দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের। এই টিকার ডোজও খুব সীমিত রয়েছে। স্মলপক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে, এই শঙ্কা থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন এর টিকা মজুত করছে।
এখনও পর্যন্ত ডেনমার্কের একটি কোম্পানি মাঙ্কিপক্সের টিকা তৈরি করেছে বলে জানান স্বামীনাথন। তবে ওই টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে কোনো তথ্য তাঁদের হাতে নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি। যদিও বলেন, জরুরিভিত্তিতে এই তথ্য সংগ্রহ করতে হবে আমাদের।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটির চেয়ে মাঙ্কিপক্স ভয়াবহ হতে পারে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুটি ভাইরাসের সরাসরি তুলনা করা যাবে না। মাঙ্কিপক্স একটি আলাদা ভাইরাস। আর এটি করোনার মতো একই গতিতে রূপান্তরিত হয় না।
আরও পড়ুন: Monkeypox: বাড়ছে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা ঘোষণা হু-র