কোটি বছর পেরিয়ে এসে মাতৃত্বের স্বীকৃতি ধরণীর

এই বসুন্ধরাই তাহলে চাঁদের মা! পৃথিবী থেকেই চাঁদের জন্মের তথ্য-প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করলেন দুই মার্কিন গবেষক। পৃথিবীর সঙ্গে অন্য গ্রহের সংঘর্ষের ফলে চাঁদ সৃষ্টির তত্ত্বটা অনেকদিনের পুরনো। বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, পৃথিবীতে আঘাত হানা সেই গ্রহ থেকেই চাঁদ তৈরি হয়েছে।

Updated By: Oct 19, 2012, 11:08 AM IST

এই বসুন্ধরাই তাহলে চাঁদের মা! পৃথিবী থেকেই চাঁদের জন্মের তথ্য-প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করলেন দুই মার্কিন গবেষক। পৃথিবীর সঙ্গে অন্য গ্রহের সংঘর্ষের ফলে চাঁদ সৃষ্টির তত্ত্বটা অনেকদিনের পুরনো। বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, পৃথিবীতে আঘাত হানা সেই গ্রহ থেকেই চাঁদ তৈরি হয়েছে। সেই পুরনো ধারণাই বদলে দিলেন দুই মার্কিন গবেষক। তাদের দাবি, ভিন গ্রহটির উপাদান দিয়ে নয়, সংর্ঘষের পর পৃথিবীর ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়েই তৈরি হয়েছে চাঁদ।

আজ থেকে প্রায় ৪৬০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়েছিল দ্রুত বেগে আসা সৌর মণ্ডলেরই একটি ছোট্ট গ্রহ থিয়া। আর সেই মহাজাগতিক `মিলনের` ফলেই সৃষ্টি হয়েছিল চাঁদ। গত শতকের সাতের দশক থেকেই বিজ্ঞানীদের কাছে এই ধারণা বদ্ধমূল হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের বেশিরভাগই মনে করতেন, চাঁদ তৈরির মূল উপাদান এসেছিল আছড়ে পড়া গ্রহ থিয়া থেকেই।
এবারে সেই পুরনো ধারণাটা একটু বদলে নিতে বললেন দুই মার্কিন বিজ্ঞানী। `সেটি`-র গবেষক মাতিয়া কুক এবং হার্ভার্ডের সারা স্টুয়ার্ট। বিখ্যাত সায়েন্স পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধে তাদের দাবি, আছড়ে পড়া গ্রহ থিয়া নয়, চাঁদ তৈরি হয়েছে আমাদের পৃথিবী থেকে ছিটকে যাওয়া উপাদান দিয়েই। আর সেই কারণেই চাঁদ এবং পৃথিবীর গঠন ও রসায়নের মধ্যে এত মিল। নিজেদের তত্ত্বের প্রমাণ হিসেবে দুই বিজ্ঞানী তুলে ধরেছেন অ্যাপোলো অভিযানে থেকে পাওয়া চাঁদের রাসায়নিক উপাদান সংক্রান্ত তথ্য।
 
কুক এবং স্টুয়ার্টের মতে, চাঁদ যখন সৃষ্টি হয়, তখন পৃথিবী নিজের অক্ষে ঘুরত অনেক দ্রুত। এক একটা দিন হতো মাত্র দুই থেকে তিন ঘণ্টায়। পৃথিবীর এই অতি দ্রুত ঘূর্ণনের ফলেই গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষের পর পর্যাপ্ত পরিমাণ উপাদান পৃথিবী থেকে ছিটকে চাঁদ সৃষ্টি হয়েছে। পরে সূর্যকে ঘিরে পৃথিবীর কক্ষপথ ও পৃথিবীকে ঘিরে চাঁদের কক্ষপথের মিথষ্ক্রিয়ায় পৃথিবী বর্তমান আহ্নিক গতি পেয়েছে, যেখানে ২৪ ঘণ্টায় এক দিন হয়।

.