জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ নিয়ে বহুদিন থেকেই চিনে সমস্যা চলছে। সেদেশের সরকার ঝুঁকি নিয়ে করোনা বিধিনিষেধ শিথিল করেনি। আর তাই নিয়েই বিরোধ। তবে টানা আন্দোলনের মুখে পড়ে দেশ জুড়ে জারি এই বিধিনিষেধ অবশেষে প্রত্যাহার করল চিন। বুধবার চিন সরকার বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের কথা জানায়। অতিমারীর প্রকোপ ঠেকাতে সবচেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ জারি ছিল চিনেই। এই বিধিনিষেধের কারণে চিনের অর্থনীতিকে বেশ ভুগতেও হয়েছে। সব মিলিয়ে বিধিনিষেধের কড়াকড়ি সেদেশের মানুষের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়। আর সেই ক্ষোভ থেকেই চিনের ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: যৌনতা নিয়ে হঠাৎ কীসের আতঙ্কে এবার দেশ জুড়ে সকলকে বিনামূল্যে কন্ডোম...


চিনের নতুন করোনাবিধি-- এবার থেকে করোনাপরীক্ষার হার কমবে সেখানে। বিধিনিষেধ শিথিল হবে। মৃদু উপসর্গের করোনা রোগীরা বাড়িতেই আলাদা ভাবে থাকতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থান ছাড়া অন্যান্য স্থানে করোনার রিপোর্ট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে হবে না। বয়স্ক মানুষদের টিকাদান জোরদার করা হবে।


আরও পড়ুন: পৃথিবীর বাইরেও এক অতিকায় মহাসমুদ্র! চিনে নিন প্রাচীন এই মহাসাগরটিকে...


২০১৯ সালের শেষ দিকে চিনে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর সংক্রমণ ঠেকাতে এসব কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে চিন। এতে প্রথম দিকে চিনে সংক্রমণ ছিল কম। গত তিন বছরে প্রায় সব দেশ করোনাসংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। কিন্তু চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিন পিং ‘জিরো কোভিড পলিসি’ থেকে সরেননি। তবে সাম্প্রতিক এই ঘোষণার মাধ্যমে তারা ‘শূন্য করোনা নীতি’ থেকে কিছুটা হলেও নমনীয় হল বলেই মনে করা হচ্ছে।


তবে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করলেও চিনের দুশ্চিন্তা কমেনি। তাদের দুশ্চিন্তা হল, চিনবাসীর মধ্যে করোনাটিকা নেওয়ার হার তুলনামূলক কম; বিশেষ করে বয়স্ক মানুষদের মধ্যে। তা ছাড়া দেশটিতে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। গত কয়েক সপ্তাহে দৈনিক করোনা পজিটিভের সংখ্যা ৪০ হাজারে গিয়েও ঠেকেছিল! 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)