নিজস্ব প্রতিবেদন: চোখের মণি সবুজ, এক জ্বলন্ত দৃষ্টি,  আফগান কন্যার সেই চাহনি নজর কেড়েছিল বিশ্বের৷ এক জোড়া চোখ যেন বলে দিয়েছিল ধিকি ধিকি আগুনের কথা।  ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত আফগান কন্যার ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছিল। তবে একথা আজকের নয়, ১৯৮৪ সালের৷ সেই সময় অবশ্য 'ভাইরাল' শব্দটি সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা লাভ করেনি। প্রচ্ছদে সেই মেয়েটির ছবি প্রকাশিত হতেই তা যেন প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শরবত গুলা। এক অনামী নাম। বিশ্ব তাঁকে চেনে তাঁর ছবি দিয়ে। চার দশক আগের যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে সেই ছবি যদিও আজও প্রাসঙ্গিক। নেপথ্যে তালিবানরা। সম্প্রতি এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানিয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দেশ ছাড়তে মরিয়া হয়ে অন্যান্য আফগানিস্তানবাসীর মতো তিনিও আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছে ইতালি সরকার। প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির কার্যালয়ের তরফে জানান হয়েছে শরবত গুলার আর্জি মেনে তাঁকে ইতালিতে নিরাপদ আশ্রয় দিতে সাহায্য করবে।


আরও পড়ুন, Lost Ring: পাওয়া গেল ১৯৪৩ সালের হারিয়ে যাওয়া সোনার আংটি!


চার দশক আগে এই আগুন ঝরানো দৃষ্টি প্রথম খুঁজে পেয়েছিলেন চিত্রগ্রাহক স্টিভ ম্যাককারি। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলির ছবি তুলতেন স্টিভ। হঠাৎই চোখে পড়ে শরবতের 'দৃষ্টি', মুহূর্তে লেন্সবন্দি, মুহূর্তে আলোড়ন তৈরি। ১৯৮৪ সালের পর ২০০২ সালে ফের স্টিভই খুঁজে পান শরবত গুলাকে। এরপর ২০১৪-তে পাকিস্তানে দেখা যায় তাঁকে। সেখানে নকল পাক আইডি বানানোর অভিযোগে ধরা পড়েন তিনি। তাঁর 'সবুজ রঙা চোখ' ততদিনে জনপ্রিয়। পরিচয় জানতে পেরে তাঁকে দেশে ফেরায় আফগানিস্তান। মাথা গোঁজার জন্য একটি অ্যাপার্টমেন্টও দেওয়া হয়। 


কিন্তু ফের অশান্ত আফগানিস্তান। তালিবানি শাসনে ফের রক্তস্নাত অলিগলি৷ বোমা, গুলির আওয়াজে অনিদ্রিত জীবনে ফিরল চার দশক আগের সেই সময়, সেই ভীতি, সেই আতঙ্ক, সেই চোখ৷ শরবতের আর্জি জানায় সে দৃষ্টি আজও প্রাসঙ্গিক। সেই চাহনির আজ বয়স বেড়েছে অনেকটাই। তাই আগুনে চাহনিতে আজ মিশেছে আর্জি। দেশ ছেড়ে প্রাণ বাঁচানোর আর্জি।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)