'নয়া দিগন্ত'-র সৌজন্যে এখন প্লুটোর রূপে মজেছে পৃথিবী

বিস্ময়ের ঘোর যেন কাটছে না। একেই তো প্লুটোর কাছ দিয়ে প্রথমবার উড়ে যাওয়ায় মহাকাশযান নিউ হরাইজনসের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত নাসা। এরপর বামন গ্রহের যে সব ছবি এসে পৌছচ্ছে, তাতে আরও বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।

Updated By: Jul 16, 2015, 09:25 PM IST
'নয়া দিগন্ত'-র সৌজন্যে এখন প্লুটোর রূপে মজেছে পৃথিবী

ব্যুরো: বিস্ময়ের ঘোর যেন কাটছে না। একেই তো প্লুটোর কাছ দিয়ে প্রথমবার উড়ে যাওয়ায় মহাকাশযান নিউ হরাইজনসের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত নাসা। এরপর বামন গ্রহের যে সব ছবি এসে পৌছচ্ছে, তাতে আরও বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।

সৌরজগতের এক প্রান্তে অবস্থান প্লুটোর। অত দূর প্রান্তে পৌছয় ক্ষীণ সূর্যালোক। বামন গ্রহ তাই চিরতুষারের দেশ। বরফের চাদরে ঢাকা এক রহস্যময় জগত্‍। কুয়াশার আস্তরণ ভেদ করে প্লুটোর যে ছবি পাঠাচ্ছে মহাকাশযান, তাতে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। প্লুটোয় রয়েছে বরফে ঢাকা পাহাড়। উচ্চতা প্রায় এগারো হাজার ফিট। কানাডার রকি মাউন্টেনের মতো। সৌর জগতের শেষ প্রান্তে, প্লুটোর কাছেই রয়েছে কুইপার বেল্ট। সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে অসংখ্য গ্রহাণু। অথচ প্লুটোয় নেই কোনও জ্বালামুখ। অর্থাত্‍ কোনও গ্রহাণু আছড়ে পড়ছে না প্লুটোয়।

এই তথ্য বিশ্লেষণ করে নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অন্যান্য গ্রহের তুলনায় প্লুটো বয়সে এখনও নবীন। তাই ওই গ্রহে এখন যে সব মহাজাগতিক ঘটনা ঘটছে, তা থেকে বোঝা যাবে পৃথিবীর মতো পুরনো গ্রহগুলো সৃষ্টির আদিতে ঠিক কী ঘটেছিল। সবচেয়ে বড় কথা প্লুটোয় যে বিপুল বরফের স্তরের খোঁজ মিলেছে বিজ্ঞানীদের ভাষায় তা ওয়াটার আইস। অর্থাত্‍ বামন গ্রহে রয়েছে জলের বিপুল ভাণ্ডার।

এছাড়াও রয়েছে উষ্ণ প্রস্রবণ, পাথর, পর্বতের ছায়া। রাসায়নিকের মধ্যে মিলেছে নাইট্রোজেন, মিথেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড। বামন গ্রহের দক্ষিণ মেরুতে রয়েছে একটা কালো দাগ। কাল্পনিক এক দৈত্যের নামে বিজ্ঞানীরা জায়গাটার নাম দিয়েছেন চুলহু। বৌদ্ধদের ক্ষমার দেবতা মেং পো, কাল্পনিক প্রাণী বালরগের নামে নামকরণ করা হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার। বামনগ্রহ প্লুটোর রয়েছে পাঁচটা চাঁদ। ধাপে ধাপে সব কটির ছবি পাঠাচ্ছে নিউ হরাইজনস। আরও বিস্ময়ের জন্য অপেক্ষা করুন, নিউ হরাইজনসের কাণ্ডকারখানা দেখে বলছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

 

.