নিজস্ব প্রতিবেদন: একধাপ পিছিয়েও ফের দেশের নতুন মানচিত্র নিয়ে নতুন পদক্ষেপ নিল নেপাল সরকার। আজ নেপালের সংসদে আনা হচ্ছে সংবিধান সংশোধনী বিল। ওই বিলে সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছে সংসদের বিরোধী পক্ষ। বিলটি পাস হয়ে গেল লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরার মতো এলাকা নেপালের মানচিত্রে সাংবিধানসম্মতভাবে ঢুকে যাবে। পাশাপাশি অনেকটাই ধাক্কা খাবে ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হওয়ার পেছনে দায়ী মোদীর ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠান, কটাক্ষ শিবসেনার


কালাপানি-সহ ওই তিনটি এলাকার ওপর দিয়ে উত্তরাখণ্ড থেকে মানস সরোবর পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরি করছে ভারত। তাতেই বাধ সেধেছে নেপাল। তাদের দাবি, কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পুয়াধুরা নেপালের এলাকা। এনিয়ে তারা নতুন নেপালের নতুন মানচিত্রও তৈরি করে ফেলেছে। সংসদে তা পাসও করিয়ে নিয়েছে। কিন্তু শেষ ধাপে এর জন্য প্রয়োজন সংবিধান সংশোধন। সেই বিলই আজ আনা হচ্ছে। দুই তৃতীয়াংশ সমর্থন পেয়ে বিলটি পাস হলে দেশের নতুন মানচিত্র প্রকাশ করবে প্রধানমন্ত্রী ওলির সরকার। গত সপ্তাহে ভারতের প্রতিক্রিয়ার পর সংসদে বিলাটি আনতে গিয়েও শেষপর্যন্ত তা স্থগিত করে দেওয়া হয়।


সাধারণভাবে নেপালে কোনও সংবিধান সংশোধনী বিল পাস করাতে গেলে অন্তত এক মাস সময় লাগে। কিন্তু পরিস্থিতি বিচার করে একাধিক ধাপ এড়িয়ে আগামী ১০ দিনে তা পাস হয়ে যেতে পারে। বিরোধীরা ওই বিলে সমর্থন দেওয়ায় শক্তি পেয়ে গিয়েছে সরকার।


আরও পড়ুন-সোমবার পথে 'না', ভাড়া বাড়ানোর দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীর ওপরেই ছাড়লেন বেসরকারি বাসমালিকরা


নেপালের নতুন মানচিত্র নিয়ে আগেই প্রতিবাদ করেছিল ভারত। এনিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বিবৃতি দেন, এভাবে নেপালের সীমানা বাড়ানো মেনে নেবে না ভারত। এব্যাপারে ভারতের অবস্থান কী তা ভালোভাবেই জানে নেপাল সরকার। তাই ওই অনৈতিক কাজ থেকে নোপালকে সরে আসার অনুরোধ করছে ভারত।


এদিকে, প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি নিজের দলের মধ্যে বেশ খানিকটা কোণঠাসা। এখন এই বিলটি পাস করাতে পারলে একদিকে তিনি নিজেকে যেমন দেশভক্ত হিসেবে তুলে ধরতে পারবেন অন্যদিকে, তেমনি দলের মধ্যে তাঁর বিরোধী লবির মুখ বন্ধ হবে।