Elon Musk's Twitter: মাস্কের দুর্দশা! ভাড়া বাকি পড়েছে, রান্নাঘরে তালা, ওয়াশরুমে নেই টয়লেটপেপারও...
Elon Musk's Twitter: ট্যুইটারের স্বত্ব কিনে নেওয়ার পর থেকে কোম্পানি পরিচালনায় কঠিন সময় পেরোচ্ছেন মাস্ক। আয় কমেছে, বিজ্ঞাপন কমেছে। সব মিলিয়ে চাপে এলনও। টুইটারের চেহারা দেখে, কোম্পানির অবস্থা খুব আশাব্যঞ্জক বলে কারওরই মনে হচ্ছে না।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ট্যুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যাক ডরসি যেভাবে ট্যুইটার পরিচালনা করতেন, কোম্পানিটি আর সে অবস্থায় নেই। গত বছর কিনে নেওয়ার পর থেকে কোম্পানি ও তার কর্মীদের জন্য নানা পরিবর্তন আনেন বর্তমান মালিক তথা বিশ্বের অন্যতম ধনী এলন মাস্ক। কোম্পানিটি কেনার পর ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এক বছরে ২০ হাজার কোটি ডলারের সম্পদ খুইয়েছেন মাস্ক। বিদায়ী বছরটি খুবই খারাপ গেল ট্যুইটারের। ট্যুইটার সদর দফতরের বাথরুমে নেই টয়লেট পেপার, বন্ধ এর রান্নাঘর, এমনকী এর ভাড়াও বাকি!
ট্যুইটারের স্বত্ব কিনে নেওয়ার পর থেকে কোম্পানি পরিচালনায় কঠিন সময় পেরোচ্ছেন মাস্ক। আয় কমে গিয়েছে, বিজ্ঞাপন কমেছে। সব মিলিয়ে চাপে পড়েছেন এলন। টুইটারের চেহারা দেখে, কোম্পানির অবস্থা খুব আশাব্যঞ্জক বলে কারওরই মনে হচ্ছে না। দায়িত্ব নেওয়ার পরে এর কর্মী ও খোদ কোম্পানির জন্য মাস্ক বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসেন। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, সেই সব পরিবর্তনের জেরেই ট্যুইটারের কপালে এত দুর্দশা ঘনিয়েছে।
আরও পড়ুন: Russia-Ukranie War: ডনেৎস্কে ইউক্রেন-হামলায় মৃত ৪০০ রুশ সেনা! নতুন বছরের শুরুতে কি ব্যাকফুটে রাশিয়া?
মাস্ক ট্যুইটারের অসংখ্য কর্মী ছাঁটাই করেছেন। তিনি মনে করতেন, এই সব কর্মী কোম্পানির কোনো কাজে আসছে না, তাই এই সিদ্ধান্ত। প্রথম দফায় মাস্ক সদর দফতর এবং দেশের বাইরের শাখা মিলিয়ে অর্ধেকেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করেন। এরপর প্রায় প্রতিদিনই আরও কর্মী ছাঁটাই করে চলেন তিনি। এরকম যখন চলছিল তখন অসংখ্য কর্মী ক্ষতিপূরণ নিয়ে স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এরপর টাকা বাঁচাতে অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং হাউসকিপিংদেরও ছাঁটাই করেন মাস্ক। কর্মীদেরই নিজেদের টয়লেট পেপার কিনে আনতে হচ্ছে। কিন্তু কেউ টয়লেট পরিষ্কার না করায় ট্যুইটারের সদর দফতরে এখন দুর্গন্ধ ছড়ায় বলেও খবর।
সব মিলিয়ে বলা যায়, মাস্ক ও ট্যুইটার উভয়েই এখন কঠিন সময় পার করছে। প্রতিদিনই কোম্পানির অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ হচ্ছে। যদিও মাস্ক বিশ্বাস করেন, খুব শিগগির ঘুরে দাঁড়াবে ট্যুইটার। দেখা যাক, কী হয়। কিন্তু আপাতত ট্যুইটারের দফতরের কী হবে? তার বন্ধ রান্নাঘরের কী হবে? সেটা কি খুলবে? তার ওয়াশরুমের কী হবে? সেখানে কি অচিরেই টয়লেট পেপার মিলবে? সময়ই বলবে। কিন্তু ট্যুইটারের মুখ প্রতিদিনই পুড়ছে, মাস্কের মুখও প্রতিদিনই পুড়ছে।