ওবামার মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব নয়াদিল্লি

ভারতীয় অর্থনীতির হালহকিকত্‍ সম্পর্কে অবগত নন বারাক ওবামা। এদিন সরাসরি মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি। এ দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নেই বলে কয়েকটি সংস্থার মারফত গুজব রটানো হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ।

Updated By: Jul 16, 2012, 10:18 AM IST

ভারতীয় অর্থনীতির হালহকিকত্‍ সম্পর্কে অবগত নন বারাক ওবামা। এদিন সরাসরি মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি। এ দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নেই বলে কয়েকটি সংস্থার মারফত গুজব রটানো হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। সেই গুজব শুনেই ওবামা মন্তব্য করে থাকতে পারেন বলে মনে করেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, এ দেশে বর্তমান বিনিয়োগের পরিস্থিতি মোটেও খারাপ নয়।
ভারতে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ থমকে থাকায় গতকাল উদ্বেগের সুর শোনা গিয়েছিল খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টের গলায়। লগ্নির উপযুক্ত পরিবেশ ফেরাতে ভারতের দ্রুত আর্থিক সংস্কারের রাস্তায় হাঁটা উচিত বলে জানান তিনি। একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাত্‍কারে ভারত-পাক সম্পর্কের বিষয়টিও উঠে আসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায়। কেবলমাত্র দুই দেশের আলোচনার মধ্যে দিয়েই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
দেশে বিরোধীদের প্রবল বাধার সামনে আপাতত খুচরো ব্যবসায় সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। এবারে সেই প্রশ্নই আরও একবার সামনে চলে আসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যে। ভারতে আর্থিক সংস্কার আটকে থাকায় মার্কিন লগ্নিকারীদের কাছে ভারতের বিনিয়োগের পরিবেশের অবনতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, লগ্নির উপযুক্ত পরিবেশ ফেরাতে ভারতের দ্রুত আর্থিক সংস্কারের রাস্তায় হাঁটা উচিত।

অন্যদিকে আমেরিকার মতো কোনও তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা সরাসরি উড়িয়ে দেন হোয়াইট হাউসের প্রথম কালো বাসিন্দা। দুই প্রতিবেশীর দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার একমাত্র সমাধান সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিশ্বজুড়ে চলা আর্থিক সঙ্কটের মাঝে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হারকে যথেষ্টই সন্তোষজনক বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর্থিক উন্নতি প্রশ্নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সর্বদাই ভারতের পাশে রয়েছে বলে জানান বারাক ওবামা।
ওবামার এই মন্তব্যের পরই কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় বাম ও বিজেপি। তাদের মতে, মার্কিন আর্থিক নীতির জেরেই বিশ্বজুড়ে আর্থিক সঙ্কট চলছে। তাই ভারতের পক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই উপদেশ মানা কখনই উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা। এদিন ইউপিএ সরকারও কার্যত একই লাইন নিয়ে বিরোধিতা করল ওবামার মন্তব্যের। সাউথ ব্লক সূত্রে খবর, সাম্প্রতিককালে ভোডাফোনের কর ফাঁকি বিবাদ এবং সংসদে এ বিষয়ে নতুন আইন প্রণয়নের পর সরকারকে চাপে রাখতে সক্রিয় হয়েছে কয়েকটি বিদেশি কোম্পানি। সম্ভবত সেই লবিই প্রভাব খাটাতে চাইছে ওভাল অফিসে।

.