ওবামার জনপ্রিয়তায় টান?
টানা দু`বার বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছেন। জনপ্রিয়তার শিখরে থাকা বারাক হুসেন ওবামার জনপ্রিয়তায় এবার ভাঁটার টান। কুইনিপেক বিশ্ববিদ্যালয়ের করা সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষে রায় দিয়েছেন মাত্র ৩৯ শতাংশ ভোটার। ওবামার জনপ্রিয়তার এহেন হালের জন্য তাঁর সাধের ওবামাকেয়ারের শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়াকেই দায়ী করেছে সমীক্ষাটি।
টানা দু`বার বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছেন। জনপ্রিয়তার শিখরে থাকা বারাক হুসেন ওবামার জনপ্রিয়তায় এবার ভাঁটার টান। কুইনিপেক বিশ্ববিদ্যালয়ের করা সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষে রায় দিয়েছেন মাত্র ৩৯ শতাংশ ভোটার। ওবামার জনপ্রিয়তার এহেন হালের জন্য তাঁর সাধের ওবামাকেয়ারের শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়াকেই দায়ী করেছে সমীক্ষাটি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে আমেরিকাবাসীর হানিমুন কি শেষ? কুইনিপেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা অন্তত সেরকমই বলছে। ২০০৯ সালে বিপুল জনসমর্থনে ভর করে হোয়াইট হাউসের দখল নিয়েছিলেন বারাক হুসেন ওবামা। তাঁর পরিবর্তনের স্লোগান নাড়িয়ে দিয়েছিল মার্কিনদের। প্রায় ৫২ শতাংশ মানুষের সমর্থন পেয়ে আমেরিকার মসনদে বসেছিলেন ওবামা। ২০১২ সালের নির্বাচনেও তাঁর জনসমর্থনে বিশেষ ভাঁটা পড়েনি। কিন্তু চলতি বছরের নভেম্বরে করা কুইনিপেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা বলছে ৫৪ শতাংশ মার্কিন ভোটারই এখন আর ওবামাকে পছন্দ করছেন না। মাত্র ৩৯ শতাংশ ভোটার তাঁর পক্ষে রায় দিয়েছেন।
এমনকী, মার্কিন প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা কমেছে মহিলা ভোটারদের মধ্যেও। ৪৯ শতাংশ মহিলা ভোটার ওবামার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ওবামার জনপ্রিয়তা এত নিচে কখনওই নামেনি। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী বারাক ওবামার এখনকার জনপ্রিয়তা তাঁর পূর্বসূরী জর্জ ডব্লিউ বুশের শেষ সময়ের সঙ্গেই তুলনীয়। গত অক্টোবরে করা এক সমীক্ষাতেও ওবামার পক্ষে রায় দিয়েছিলেন ৪৯ শতাংশ মানুষ। এর কারণ হিসাবে সমীক্ষাটি প্রধানত দায়ী করেছে ওবামাকেয়ার নিয়ে নানারকম জটিলতাকেই। শুরু থেকেই নানারকম সমস্যায় ভুগছে ওবামা কেয়ার। আর তা নিয়েই প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন মার্কিনরা। ভোটারদের বৃহত্তর অংশই ওবামার ওপরে আর বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। যদিও মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী দুহাজার ষোলের নির্বাচনে জন্য লড়তে পারবেন না তিনি। কিন্তু বারাক হুসেন ওবামার জনপ্রিয়তায় ভাঁটার টান বিশেষ স্বস্তিতে রাখছে না ডেমোক্র্যাটদের।