নিজস্ব প্রতিবেদন: বিকেল চারটেয় তাঁকে ভারতের তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি ভারতের মাটিতে পা রাখলেন শুক্রবার রাত ৯টার পর। কিন্তু তার আগেই অভিনন্দন বর্তমানের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয় পাকিস্তানের তরফে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


আর তা সামনে আসতেই হইচই পড়ে যায়। সরব হন ভারতীয়রা। জেনেভা কনভেনশন ভাঙা হচ্ছে বলে অভিযোগও ওঠে। এই চাপের মুখে পড়ে শেষপর্যন্ত ওই ভিডিয়োটি ডিলিট করে দিতে বাধ্য হল পাকিস্তান।


২৭ ফেব্রুয়ারি বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। তার পর থেকে তাঁর একাধিক ভিডিয়ো সামনে আসে। প্রথমে তাঁকে মারধর করতে দেখা যায়। তার পর তাঁর ভিডিয়ো বয়ান সামন আসে।


আরও পড়ুন: আল কায়েদার মাথা লাদেন পুত্র! খবর দিলেই ১০ লক্ষ ডলার পুরস্কার আমেরিকার


শুক্রবার রাতে প্রকাশ্যে আসে শেষ ভিডিয়োটি। যেখানে অভিনন্দনকে পাকিস্তান সেনার প্রশংসা করতে দেখা যায়। ভারতের মিডিয়ার সমালোচনা করতে দেখা যায়। কিন্তু এক মিনিটের কিছু বেশি সময়ের ওই ভিডিয়োটিতে একাধিক জাম্প কাট দেখা গিয়েছে। এডিট করে যে ভিডিয়োটি পাকিস্তানের সুবিধাজনকভাবে বানানো হয়েছে, তাও স্পষ্ট হয়ে যায়।


এর পরই শুরু হয় বিতর্ক। প্রতিবাদ শুরু হয় ভারতীয়দের তরফে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্ট পড়তে থাকে। জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, এই কাজ পাকিস্তান করতে পারে না বলেও অভিযোগ ওঠে।


আরও পড়ুন: জইশকে বাঁচাতে মরিয়া পাকিস্তান, প্রশ্নের মুখে ইমরানের শান্তির বার্তা


এর পরই দেখা যায় ওই ভিডিয়োটি পাকিস্তানের তরফে ট্যুইটারের তরফ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক আঙিনায় মুখ পুড়ছে বুঝতে পেরেই পাকিস্তানের তরফে ভিডিয়োটি সরানো হয়।


তবে এই ঘটনায় পাকিস্তানের দু'মুখো নীতি আবার সামনে চলে এল বলে মনে করছেন ভারতীয় কূটনীতিকরা। কারণ, বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছিলেন, শান্তির-বার্তা হিসেবে তাঁরা অভিনন্দনকে ছেড়ে দিচ্ছেন।


আরও পড়ুন: ইসলামিক রাষ্ট্রের সম্মেলনে নাম না-করে পাকিস্তানকে আচ্ছা করে দিলেন সুষমা


কিন্তু সেটা যে আসলে কথার কথা। আসলে ভারতের কূটনৈতিক চাপ ও জেনেভা কনভেনশনের চাপেই পাকিস্তান অভিনন্দনকে ছাড়তে বাধ্য হয়। তবে শেষপর্যন্ত অভিনন্দন ও ভারতকে হেনস্তা করার কোনওরকম সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি পাকিস্তান। তাই এসব ভিডিয়ো করা হয়েছে বলে অভিযোগ।


প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গিহামলা হয়। শহিদ হন ৪০ জন জওয়ান। আহত হন অনেকে। হামলার দায় স্বীকার করে নেয় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ।


আরও পড়ুন: ইসলামিক রাষ্ট্রের সম্মেলনে প্রধান অতিথি ভারত, হিংসায় জ্বলেপুড়ে বয়কট পাকের


তার পাল্টা হিসেবে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে আরও একবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটিতে আকাশপথে মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা।


সেই হামলার পরদিনই ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে একাধিক পাক যুদ্ধবিমান। তার মধ্যে তিনটি এফ-১৬ও ছিল। সেই তিন যুদ্ধবিমানের একটিকে তাড়া করতে গিয়েই পাকিস্তানের হাতে আটকে পড়েছিলেন অভিনন্দন।


তাঁকে ছাড়ার ঘোষণা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছিলেন, ভারতের প্রতি এটা তাঁর শান্তির বার্তা। কিন্তু সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শান্তির কথা বললেও পাক সেনা নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে ক্রমাগত ভারতের উপর হামলা করছে। ভারতও যোগ্য জবাব দিচ্ছে।


আরও পড়ুন: গুরুতর অসুস্থ মাসুদ আজহার; বাড়ি থেকে বেরোতে পারছে না, কবুল করল পাকিস্তান


ফলে আগের মতো এখনও পাকিস্তানের দু'মুখো নীতি জারি রয়েছে বলে ভারতীয় কূটনৈতিক মহলের দাবি।