জোট ছাড়া সরকার গঠনের কোনও পথ খোলা নেই, ১১৬-তেই থামল ইমরানের পিটিআই
পিটিআইয়ের মুখপাত্র ফাওয়াদ খান সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘ছোট দল ও নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: জোট সরকার গড়া ছাড়া কোনও পথ আর খোলা রইল না ইমরান খানের সামনে। শনিবার পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করল। সেখানে ১১৬ আসনেই থেমে গেল ইমরানের বিজয়রথ।
২৭০ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচনে সরকার গড়তে গেল ইমরানের প্রয়োজন ছিল ১৩৭ আসন। সেখানে ইমরানের পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ(পিটিআই) পেয়েছে ১১৬ আসন। ফলে সরকার গঠন করতে গেলে পিটিআইয়ের প্রয়োজন আরও ২১টি আসন। ফলে ভরসা এখন নির্দল, এমএমএ ও এমকিউএম এর মতো দল।
আরও পড়ুন-'প্রধানমন্ত্রী করতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে'
অন্যদিকে, নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ পেয়েছে ৬৪ আসন। নওয়াজের খাসতালুক পাঞ্জাব প্রদেশেই থাবা বসিয়ে দিয়েছে পিটিআই। পাশাপাশি পাকিস্তান পিপিলস পার্টির শক্ত ঘাঁটি সিন্ধেও জায়গা করে নিয়েছে ইমরানের দল। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচনে পিপিপি পেয়েছে মাত্র ৪৩ আসন।
অন্যান্য দলগগুলির মধ্যে মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমাল(এমএমএ) পেয়েছে ১২ আসন, মুত্তাহিদা কওয়ামি মুভমেন্ট(এমকিউএম)পেয়েছে ৬, বালোচিস্থান আওয়ামি পার্টি ও এমপিএল পেয়েছে ৪টি করে আসন। নির্দল পেয়েছে ১২টি আসন।
সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন নেই ইমরানের হাতে। ফলে জোটের রাস্তায় হাঁটতেই হচ্ছে ইমরানকে। পিপিপি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে তারা জোট রাজনীতিতে মাথা গলাবে না। পিএমএল-এর জোটে আসার কোনও প্রশ্নই নেই। ফলে ইমরানের সামনে খোলা থাকল নির্দল ও অন্যান্য ছোট দলগুলি।
আরও পড়ুন-গভীর খাদে পড়ল পিকনিকের বাস, নিহত ৩৩
সরকার গঠনের জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দলের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছে ইমরান খানের দল। পিটিআইয়ের মুখপাত্র ফাওয়াদ খান সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘ছোট দল ও নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। তারা দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলছে।’ পিটিআই চেষ্টা করলেও সমস্যা রয়েছে অন্য জায়গায়। নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ একজোট হচ্ছে ছোট দলগুলি। এরা কয়েকদিনের মধ্যেই একটি বৈঠকে মিলিত হচ্ছে। এদের অনেকেই ন্যাশানাল অ্যাসেম্বলিতে যেতে চাইছে না। অনেকে আবার নতুন করে নির্বাচনের দাবি করছে। ফলে এদের ওপরেই নির্ভর করছে ইমরানের ভাগ্য।
এদিকে পাঞ্জাব প্রদেশে সরকার গঠনের পথ কিছুটা হলেও সহজ হল পিটিআইয়ের। সেখানে ৪ নির্দল জয়ী প্রার্থী পিটিআইয়ে যোগ দিলেন। ফলে পিটিআইয়ের আসন সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১২৭। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের পিএমএল ইতিমধ্যেই পাঞ্জাবে ১২৯ আসন পেয়েছে। ফলে এখনও ২টি আসনে পিছিয়ে ইমরান। এক্ষেত্রে ঘোড়া কেনাবেচার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না কোনও কোনও মহল।