নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারত-বিরোধী আগ্রাসন নয়। বরং আগে, সন্ত্রাসে লাগাম টানুক পাকিস্তান। মার্কিন মুলুক থেকে এল কড়া বার্তা। কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নালিশ জানানোর চেষ্টা করতে গিয়ে
ইসলামাবাদই এখন চাপে। ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে মন্তব্য এড়িয়ে গেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘও। আর এসবের মধ্যেই বিদেশমন্ত্রক বুঝিয়ে দিয়েছে লাদাখ নিয়ে চিন সুর চড়ালেও পাত্তা দিচ্ছে না নয়াদিল্লি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মার্কিন সেনেটে বৈদেশিক সম্পর্ক সংক্রান্ত কমিটির সদস্য রবার্ট মেনেন্দেজ এবং হাউসের বিদেশ বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ইলিয়ট এঞ্জেলের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের বিরুদ্ধে যে কোনও ধরনের আগ্রাসন থেকে পাকিস্তানের দূরে থাকা উচিত। এর মধ্যে জঙ্গি অনুপ্রবেশে মদত দেওয়া বন্ধ করা এবং দেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ-দুটি বিষয়ই রয়েছে।  



একই সঙ্গে, দিল্লিকেও সংযত থাকার বার্তা দিয়েছেন, মার্কিন আইনসভার দুই ডেমোক্র্যাট সদস্য। তাঁদের মন্তব্য, বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র ভারতকে তার সব নাগরিককে রক্ষা করতে হবে, সমানাধিকার
দিতে হবে। তাঁরা আশা করেন, জম্মু-কাশ্মীরে ভারত সরকার এই নীতি মেনেই চলবে। 



বুধবার কাশ্মীরের পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ওই বৈঠকের পর পাক প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে একাধিক পদক্ষেপের কথা।


১. ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমানো হবে।
২. ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতাগুলি নিয়ে হবে পর্যালোচনা।
৩. ভারতের সঙ্গে সমস্ত রকম বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাতিল।
৪.জম্মু-কাশ্মীরের বিষয়টি রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে জানাবে পাকিস্তান।
৫. ১৪ অগস্ট স্বাধীনতা পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। ওই দিনটি কাশ্মীরিদের সমর্পণ করবে পাকিস্তান।
৬. পরের দিন ভারতের স্বাধীনতা দিবস কালো দিন হিসেবে পালিত হবে পাকিস্তানে।
৭. বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে থাকা পাক কূটনীতিবিদদের কাশ্মীরে ভারতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলতে হবে।
৮. সেনাকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।


এরপরই ভারতে নতুন রাষ্ট্রদূত মইন-উল-হককে তারা পাঠাচ্ছে না বলে জানিয়ে দেয় পাকিস্তান। একইসঙ্গে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়াকে। 


আরও পড়ুন- ভারতের এয়ারস্ট্রাইকের আশঙ্কা? আকাশপথ আংশিক বন্ধ করল পাকিস্তান