কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ নেই, স্বীকারোক্তি আন্তর্জাতিক আদালতে পাক আইনজীবীর

কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পোক্ত প্রমাণ নেই, স্বীকার করে নিলেন পাক আইনজীবীই। 

Updated By: Sep 3, 2019, 06:41 PM IST
কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ নেই, স্বীকারোক্তি আন্তর্জাতিক আদালতে পাক আইনজীবীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: আন্তর্জাতিক মঞ্চে এখনও পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে হতাশা ছাড়া আর কিছুই জোটেনি পাকিস্তানের। জম্মু-কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালতের শরণে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমরান খানের সরকার। কিন্তু সেখানে গিয়েও লাভ হবে না বলে স্বীকার করে নিলেন আন্তর্জাতিক আদালতে কুলভূষণ যাদব মামলায় পাকিস্তানের আইনজীবী খাওয়ার কুরেসি। তাঁর মতে, কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পোক্ত প্রমাণ নেই। প্রমাণ না থাকলে কীভাবে আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়ে সুবিচার মিলবে!

পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে খাওয়ার কুরেসি বলেন, ''এখানে মানুষ যে পরিস্থিতি দেখছেন, আন্তর্জাতিক স্তরে মোটেও তেমনটা নয়। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের অবস্থান অন্য জায়গায় ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখা হতে পারে। তাদের দৃষ্টিতে, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছিন্ন অংশ।'' একইসঙ্গে তিনি আরও স্পষ্ট করেন, কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পোক্ত প্রমাণ হাতে নেই পাকিস্তানের। ফলে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে মামলা চালানো বেশ শক্ত।      

ভারতের নাগরিক কুলভূষণ যাদবকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করে ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল পাক সেনা আদালত। ওই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিল ভারত। পাকিস্তানের হয়ে মামলা লড়েছেন খাওয়ার কুরেসি। আর ভারতের আইনজীবী ছিলেন হরিশ সালভে। ওই মামলায় বিরাট জয় পেয়েছে ভারত। কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকদের সাক্ষাতের আবেদনে সাড়া দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত।           

কাশ্মীর থেকে নয়াদিল্লি ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর থেকে চটেছে ইসলামাবাদ। আন্তর্জাতিকস্তরে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও আসেনি সাফল্য। এমনকি সঙ্গ দেয়নি ইসলামিক দেশগুলিও। চিনের আবেদনে সাড়া দিয়ে অ-আনুষ্ঠানিক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সম্মত হয় রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সেখানে চিন ছাড়া আর কেউ পাশে দাঁড়ায়নি পাকিস্তানের। জি৭ সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে ট্রাম্পকে পাশে বসিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত-পাকিস্তান আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম। অন্য কাউকে কষ্ট করতে হবে না।

আরও পড়ুন- আগবাড়িয়ে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার করবে না পাকিস্তান, চাপে পড়ে পিছু হঠলেন ইমরান 

 

.