মায়ানমারের ভোটে বিপুল সাফল্য সু চি`র

নতুন ইতিহাস গড়লেন মায়ানমারের অবিসংবাদী বিরোধী নেত্রী আন সান সু চি। বলা ভাল ইতিহাস গড়ল তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি। মায়ানমারের জাতীয় আইনসভার ৪৫টি আসনের উপনির্বাচনে চমকপ্রদ জয় পেল আন সান সু চি`র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। মোট ৪৪টি আসনে লড়ে ৪৩টিতেই জিতেছেন দলীয় প্রার্থীরা।

Updated By: Apr 2, 2012, 04:46 PM IST

নতুন ইতিহাস গড়লেন মায়ানমারের অবিসংবাদী বিরোধী নেত্রী আন সান সু চি। বলা ভাল ইতিহাস গড়ল তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি।
মায়ানমারের জাতীয় আইনসভার ৪৫টি আসনের উপনির্বাচনে চমকপ্রদ জয় পেল আন সান সু চি`র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। মোট ৪৪টি আসনে লড়ে ৪৩টিতেই জিতেছেন দলীয় প্রার্থীরা। জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী মায়ানমারের গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা আন্দোলনের প্রধান নেত্রী স্বয়ং। এখনও সরকারি ভাবে এনএলডি`র এই বিপুল জয়ের কথা ঘোষণা করা হয়নি। তবে ইয়াংগনে এনএলডি-র সদর দফতরের বাইরে রাখা ডিজিটাল সাইনবোর্ডে জ্বলজ্বল করছে দলের এই সাফল্যের খবর । আর তারই সামনে উল্লাসে মেতেছেন এনএলডি-র হাজার হাজার সমর্থক।
রাজনৈতিক মহলের মতে, উপনির্বাচনে এনএলডি`র এই জয়, শাসক সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে মায়ানমারের মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। সেই সঙ্গে অলোচনায় উঠে আসছে অন্য একটি সম্ভাবনার কথাও। মায়ানমারের রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, প্রেসিডেন্ট থেন সেইনের বিরোধী সামরিক অফিসারদের সাহায্য পাওয়ার ফলেই বিপুল জয়ের মুখ দেখেছে এনএলডি।
১৯৮৯ সাল থেকে পরবর্তী দু`দশকের মধ্যে ১৫ বছরই বন্দিজীবন কাটানোর পরে ২০১০ সালে মুক্তি পান মায়ানমারের গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনের নেত্রী। তার পর এই প্রথমবার তাঁর নির্বাচনে অংশগ্রহণ। প্রসঙ্গত, ১৯৯০-এর নির্বাচনে সু কি`র দল এনএলডি জয়ী হলেও তা মেনে নেয়নি মায়ানমারের সেনা সরকার। তারপর টানা সেনাশাহীর অধীনেই ছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি। গণতন্ত্রের দাবিতে সু চি`র দীর্ঘ আন্দোলনকে মায়ানমারের সেনা সরকার বরাবরই নির্মমভাবে দমন করে এসেছে। আন্তর্জাতিক চাপে ২০১০-এ একবার নির্বাচন হলেও সেই ভোটে অংশ নেননি সু চি এবং তাঁর দল।
রবিবার মায়ানমারের পার্লামেন্টের ৬৬৪টি আসনের মধ্যে মাত্র ৪৫টি আসনে ভোট হয়। উপনির্বাচনে ভারডুবি হলেও মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট তথা প্রাক্তন সেনাপ্রধান থেন সেইনের দল `ইউনিয়ন সলিডারটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি`-র হাতে এখনও জাতীয় আইনসভায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। মায়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই নির্বাচন খুব বড়সড় প্রভাব না ফেললেও, উপনির্বাচনে সু চি`র জয় মায়ানমারের গণতন্ত্রের এগোনর পথে তাত্‍পর্যপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও থেন সেইন সরকারের কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে পুরোমাত্রায়। সে ক্ষেত্রে নতুন করে নির্বাচনের দাবিও উঠতে পারে গণতন্ত্রপ্রেমী জনতা ও বিরোধী দলগুলির তরফে।

.