নিউ হরাইজনসের পাঠানো ছবিতে, প্লুটোতে ১১ হাজার ফুট উচ্চতার পর্বতমালার খোঁজ নাসার
মাউন্ট এভারেস্টের পর এবার প্লুটোর বুকেও তেনজিং নোরগে। মহাকাশযান নিউ হরাইজনসের পাঠানো ছবি থেকে বামনগ্রহে এগারো হাজার ফুট উচ্চতার বরফের পর্বতমালার খোঁজ পেয়েছে নাসা। এভারেস্ট জয়ী তেনজিংয়ের নামেই সেই পর্বতমালার নাম রাখা হয়েছে নোরগে মন্টেস।
ব্যুরো: মাউন্ট এভারেস্টের পর এবার প্লুটোর বুকেও তেনজিং নোরগে। মহাকাশযান নিউ হরাইজনসের পাঠানো ছবি থেকে বামনগ্রহে এগারো হাজার ফুট উচ্চতার বরফের পর্বতমালার খোঁজ পেয়েছে নাসা। এভারেস্ট জয়ী তেনজিংয়ের নামেই সেই পর্বতমালার নাম রাখা হয়েছে নোরগে মন্টেস।
১৯৫৩, ২৯ মে। এই গ্রহের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় পা রেখেছিলেন তেনজিং নোরগে আর স্যার এডমন্ড হিলারি। প্রকৃতির দুর্লঙ্ঘ বাধা অতিক্রমে তেনজিং নোরগের সেই অনন্য কীর্তিকেই এবার সৌরজগতের বুকে চিরস্থায়ী করে দিল নাসা। প্লুটোয় সদ্য খোঁজ মেলা বরফে তৈরি বিশাল পর্বতমালার নামকরণ এভারেস্টজয়ী শেরপার নামেই করেছেন নাসার বৈজ্ঞানিকরা। পৃথিবীর রকি মাউন্টেনের মতই দেখতে প্লুটোর এগারো হাজার ফুট উঁচু এই পর্বতমালার নাম রাখা হয়েছে নোরগে মন্টেস। গত ১৪ জুলাই প্লুটোর মাত্র বারো হাজার পাঁচশো কিলোমিটার দূর দিয়ে উড়ে গেছে নাসার মহাকাশযান নিউ হরাইজনস। সেসময় মহাকাশযানের তোলা বামনগ্রহের একগুচ্ছ ছবি হাতে পেয়েছেন বৈজ্ঞানিকরা। ওই ছবিগুলি থেকেই প্লুটোর বুকে নোরগে মন্টেসের খোঁজ পান তাঁরা। বরফ-পাহাড়ের পাশেই হৃদয় আকৃতির বরফে ঢাকা বিশাল এক প্রান্তরেরও দেখা মিলেছে নিউ হরাইজনসের পাঠানো ছবিতে। মহাকাশে পাঠানো মানুষের প্রথম উপগ্রহের নামে সেই বরফ-প্রান্তরের নাম রাখা হয়েছে স্পুটনিক প্লেনাম। এই প্রথম প্লুটোর এত কাছে পৌছতে পারল মানুষের তৈরি কোনও মহাকাশ যান। আপাতত বামনগ্রহ পেরিয়ে সৌরজগতের সুদূরতম দিগন্তের খোঁজে উড়ে চলেছে নিউ হরাইজনস। সেই অজানার উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ার আগে মানুষের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ দুই কীর্তিকেই কুর্নিশ জানিয়ে গেল নাসার মহাকাশযান।