সন্ত্রাসদমনে মায়ানমার-ভারতের যৌথ উদ্যোগের আশ্বাস
ভারত এবং মায়ানমারের মাটিতে সন্ত্রাসদমনে দুই দেশকে যৌথ ভাবে কাজ করতে হবে। রাজধানী নেপিতাতে আজ মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট থান সোইনের সঙ্গে বৈঠকে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণাও।
ভারত এবং মায়ানমারের মাটিতে সন্ত্রাসদমনে দুই দেশকে যৌথ ভাবে কাজ করতে হবে। রাজধানী নেপিতাতে আজ মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট থান সোইনের সঙ্গে বৈঠকে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণাও। জঙ্গি কার্জকলাপ মোকাবিলার পাশাপাশি আলোচনায় উঠে আসে অনুপ্রবেশ এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রসঙ্গ।
১৯৮৭ ডিসেম্বর মাসে শেষবার মায়ানমারে গিয়েছিলেন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি। এরপর ২৫ বছর বাদে রবিবার সেদেশের মাটিতে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তাঁর ঐতিহাসিক সফরে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট। সস্ত্রীক মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণা সহ এসেছেন বিদেশমন্ত্রকের একাধিক শীর্ষ কর্তা। সোমবার রাজধানী নেপিতাতে মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট থান সোইনের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনায় উঠে আসে সন্ত্রাসদমন, অনুপ্রবেশ এবং নিরাপত্তা প্রসঙ্গ। দুই দেশের মাটিতে জঙ্গি কার্জকলাপ মোকাবিলায় যৌথ উদ্যোগের উপরই জোর দেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। পাশাপাশি তিনি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও পারস্পরিক সহযোগিতার উপর জোর দিয়েছেন।
বৈঠকের আগে সস্ত্রীক প্রধানমন্ত্রী ও এসএম কৃষ্ণা সহ সমস্ত অতিথিদের নিজের প্রাসাদে রাজকীয় সম্মান জানান প্রেসিডেন্ট থান সোইন। কিছুদিন আগে নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সই করেছে মায়ানমার সরকার। সে প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণা বলেন, প্রত্যেক রাষ্ট্রেরই অভ্যন্তরীন সমস্যা থাকে।
মঙ্গলবার মায়ানমারের বিরোধী দলনেত্রী আঙ সান সুচির সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। উপনির্বাচনে জেতার পর ২ মে পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে শপথ নেন নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী সুচি। এ অবস্থায় তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত্পর্বকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।