BNP-Police Clash: সংঘর্ষে উত্তাল ঢাকায় চলল টিয়ার গ্যাস-রবার বুলেট, হত ১
পুলিসের বক্তব্য, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির যে সমাবেশ হবে তার স্থান এখনও ঠিক হয়নি। কিন্তু আজ নয়া পল্টন এলাকায় তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে তারা রাস্তা বন্ধ করে দেয়। পুলিস অনুরোধ করার পরও রাস্তা খালি করেনি তারা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিএনপি-পুলিস সংঘর্ষে উত্তাল ঢাকার নয়া পল্টন এলাকা। এখনওপর্যন্ত ওই সংঘর্ষে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বিএনপি কর্মীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে আনলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আহত অবস্থায় মোট ৮ জনকে ভর্তি করা হয় তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে মকবুল আহমেদ নামে ওই ব্যক্তির। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত মকবুল আহমেদের দেহে গুলির ছররা পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন-'সংসদে বিপজ্জনক বিল আনা হচ্ছে', দিল্লিতে দলের বৈঠকের পর মমতা
উল্লেখ্য, আগামী ১০ ডিসেম্বর একটি সভা রয়েছে বিএনপির। সেই সমাবেশকে ঘিরে আজ নয়াপল্টনে দলের সদর দফতরে সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন বিএনপি কর্মী-সমর্থকরা। দুপুর গড়িয়ে বিকেলে মানুষের সমাবেশের আকার অনেকটাই বেড়ে যায়। বিকেলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সেই সংঘর্ষ থামাতে পুলিসে এলে তাদের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে বিএনপির কর্মীরা। বাধ্য হয়েই পুলিস লাটি চার্জ করে, টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটিয়ে ও রবার বুলেট চার্জ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামানো হয় সোয়াটকেও। পুলিসের তাড়া খেয়ে গলিতে ঢুকে পড়লেও বারেবারেই বেরিয়ে এসে পুলিসের দিকে তেড়ে যায় বিএনপি সমর্থকরা। এমনটাই দাবি পুলিসের।
কীভাবে গোলমাল বাধাল? বিএনপির মুখপাত্র রহুল কবীর সংবাদমাধ্যমে বলেন, ১০ ডিসেম্বর দলের একটি সভা রয়েছে। সেই সভার বিষয়ে জানতে আজ সদর দফতরে খোঁজখবর নিয়ে এসেছিলেন বহু বিএনপি সমর্থক। তাদের সমাবেশে টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জ করে পুলিস। এতেই হাঙ্গামা বেধে যায়। পুলিসের মারে বহু মানুষ আহত হন। অনেক আটকে পড়েন দলীয় কার্যালের মধ্যে। অন্যদিকে, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বানচাল করার জন্য পুলিস পরিকল্পনামাফিক হামলা চালিয়েছে।
অন্যদিকে, পুলিসের বক্তব্য একেবারে উল্টো। ঢাকা পুলিসের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির যে সমাবেশ হবে তার স্থান এখনও ঠিক হয়নি। কিন্তু আজ নয়া পল্টন এলাকায় তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে তারা রাস্তা বন্ধ করে দেয়। পুলিস অনুরোধ করার পরও রাস্তা খালি করেনি তারা। তাদের রাস্তা থেকে তুলতে তারা পুলিসের উপরে চড়াও হয়। এই সংঘর্ষে বহু পুলিসকর্মী আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ঢাকা মেট্রোপলিটিয়ান কমিশনার জানান, নয়া পল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। জোর করে সমাবেশ করলে পুলিস ব্যবস্থা নেবে। অনেক বোমা উদ্ধার হয়েছে।