নিজস্ব প্রতিবেদন : কত প্রতিভা হয়তো এভাবেই হারিয়ে যায়! খবরটা শোনার পর আপনার এটাই মনে হতে পারে। কিন্তু আদতে তা নয়। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আর প্রতিভা হারানোর ভয় নেই। যদি সত্যি প্রতিভা থাকে তা হলে সেটা তুলে ধরার প্ল্যাটফর্ম আজকাল পাওয়া যায়। সুযোগ তৈরি করে নেওয়া যায় নিজেই। তার জন্য কারও উপর নির্ভর না করলেও চলে। হাতে চাই শুধু একটা স্মার্ট ফোন। আর প্রতিভা। একজন রিক্সাচালক সেটাই দেখিয়ে দিলেন। সারাদিন শহরের রাস্তায় রিক্সা চালাতে চালাতে নিজের খেয়ালে গান করেন। সওয়ারিদের কেউ কেউ তাঁর গানের গলার তারিফ করেন। কেউ এড়িয়ে যান। রিক্সাচালকের গান থামে না। ফাঁকা সময়ে গাছের তলায় বসে গেয়ে চলেন কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই...।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ভরা বর্ষায় নদীতে জাল ফেললেই উঠছে ইলিশ! দেখুন ভিডিয়ো



বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় রিক্সা চালান জহুরুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের বাঘবাটি গ্রামে। কিন্তু পেটের দায়ে ঢাকায় এসে রিক্সা চালান তিনি। পড়াশোনা করেছেন। তবে নিম্ন মধ্যবিত্তের বাড়ির আরও হাজারো ছেলের মতো কখন যে নিজের স্বপ্নের থেকে দূরে সরে গিয়েছেন বুঝতেই পারেননি। পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল। পেটের টান তো ছিলই। তাই মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে বেরিয়ে পড়তে হয় রিক্সা নিয়ে। বাবা নেই। অসুস্থ মা থাকেন গ্রামের বাড়িতে। একার কাঁধে সংসার। অভাবের সংসারে জহুরুল ভরসা। 


আরও পড়ুন-  ছেলের নামে জাহাজ! ডুবন্ত মানুষদের উদ্ধারকাজে যেতে চান আলান কুর্দির বাবা



জহুরুল বলছিলেন, মান্না দের গান আমার শুনে শুনে শেখা। সেভাবে তো কখনও গান শিখিনি। রিক্সা টানতে টানতে গান গাই। কখনও ফুটপাতে বসে গাই। মন খুলে গলা ছেড়ে গান গাইতে পারলে আর কী চাই! এক অদ্ভুত শান্তি আসে। এস এম সুজা উদ্দিন ও নাজমুল হাসান নামের দুই ব্যক্তির সঙ্গে জহুরুলের দেখা হয় ঢাকার এক রাস্তায়। জহুরুলের প্রতিভা ছড়িয়ে দিতে তাঁরা একটি ভিডিয়ো করেন। জহুরুল গাইছেন মান্না দের বিখ্যাত সেই গান। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো পড়তেই মুহূর্তে ভাইরাল। গলায় সুর। মুখে স্মিত হাসি। রিক্সাচালক জহুরুল যেন এক অন্য প্রতিভা।