জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সম্প্রতি প্রথম রাজনীতিবিদ হিসেবে সানডে টাইমসের ধনীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন ঋষি সুনক। তাঁর স্ত্রী অক্ষতা মূর্তির পাশাপাশি তিনিও প্রথম সারির রাজনীতিবিদ হিসেবে স্থান পেয়েছেন এই তালিকায়।
 
প্রাক্তন চ্যান্সেলর অফ এক্সচেকার বর্তমানে হাউস অফ কমন্সের সবচেয়ে ধনী এমপি বলে মনে করা হয়। ব্যাংকার হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন ঋষি। অন্যদিকে ভারতের অন্যতম সফল উদ্যোগপতির কন্যা অক্ষতা মুর্তির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। দুয়ে মিলে সম্পদের শিখরে ঋষি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিছুদিন আগেই ঋষি বলেন জীবনযাত্রার খরচ বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনধারণকে আরও কঠিন করে তুলবে। এর কিছুদিন পরেই সানডে টাইমসের এই তালিকায় স্থান করে নেন তিনি।


সানডে টাইমস রিচ লিস্টের তালিকা অনুযায়ী সুনক এবং তাঁর স্ত্রী অক্ষতা মূর্তির মোট সম্পদের মূল্য ৭৩০ মিলিয়ন পাউন্ড। রাজনীতিতে আসার আগে সুনক আমেরিকার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক গোল্ডম্যান শ্যাক্সে কাজ করতেন।


এরপর তিনি হেজ ফান্ড ম্যানেজমেন্টে চলে যান এবং অবশেষে ২০১০ সালে নিজস্ব ফার্ম, থেলেম পার্টনার্স শুরু করেন।


সুনকের পারিবারিক সম্পদের সিংহভাগ রয়েছে তাঁর স্ত্রীর কাছে। অক্ষতার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ২০০৯ সালে। অক্ষতা মূর্তির বাবা, এন আর নারায়ণ মূর্তি ভারতীয় প্রযুক্তি জায়ান্ট ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। কোম্পানিতে অক্ষতার শেয়ারের মূল্য প্রায় ৪৩০ মিলিয়ন পাউন্ড। এরফলে অক্ষতা সম্পদ ব্রিটেনের রানির থেকেও বেশি বলে জানা গিয়েছে। 


ভারতে অ্যামাজনের সঙ্গে তাঁর পরিবারের ৯০০ মিলিয়ন পাউন্ডের যৌথ উদ্যোগ রয়েছে। অক্ষতা মূর্তি নিজে ব্রিটেনে একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানির মালিক। এছাড়াও ব্রিটেনের অন্য পাঁচটি কোম্পানিতে ডিরেক্টর অথবা সরাসরি শেয়ারহোল্ডার হিসেবে রয়েছেন।


ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানির নাম ক্যাটামারান ভেঞ্চারস ইউকে লিমিটেড। অক্ষতা নিজের ব্যক্তিগত সম্পদ সঞ্চয় করার জন্য ব্যবহার করেন এই ভেঞ্চার ক্যাপিটাল। এমপি হওয়ার আগে এই কোম্পানিতে শেয়ারহোল্ডার ছিলেন সুনক। যদিও এমপি হওয়ার আগে সেগুলি তার স্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন তিনি।


প্রাক্তন চ্যান্সেলর সাজিদ জাভিদ তাঁকে ট্রেজারিতে মুখ্য সচিব নিযুক্ত করেন ২০১৯ সালের জুলাই মাসে। এরপরেই একটি ব্লাইন্ড ট্রাস্ট রেজিস্টার করেন তিনি। এই ট্রাস্টে বহু মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ রয়েছে বলে মনে করা হয়।


ব্লাইন্ড ট্রাস্ট সাধারণ মানুষকে তাদের বিনিয়োগ থেকে সুদ পাওয়ার সুযোগ দেয়। যদিও তাঁদের টাকা আসলে কোথায় বিনিয়োগ করা হয়েছে তা জানতে পারেন না বিনিয়োগকারীরা। এরপরে সুনক নিজে ব্রিটেনের এক্সচেকারের চ্যান্সেলর হন।


আরও পড়ুন: Rainbow Coloured Planet: মহাজাগতিক রামধনু দেখাল নাসা, রহস্যটা কী?


গত অক্টোবরে এই ব্লাইন্ড ট্রাস্টের বিশদ বিবরণ প্রকাশের জন্য চাপের মুখে পড়েন সুনক। বিশেষ করে অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থের কোনও অংশ রাখা হয়েছ কিনা সেই বিষয় জানানোর জন্য বলা হয়।


লিবারেল ডেমোক্র্যাট নেতা স্যার এড ডেভি সেই সময় বলেন, "এই ট্রাস্টের মূল সত্য হল যে শুধুমাত্র জনসাধারণই এর প্রতি অন্ধ।"


"চ্যান্সেলর মাত্র ১৮ মাস আগে এই ট্রাস্ট স্থাপন করেন কিন্তু জনসাধারণের কোনও ধারণা নেই সেই টাকা কোথায় আছে অথবা সেই টাকার বিনিয়োগে স্বার্থের দ্বন্দ্ব আছে কিনা।


 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)