Rohingya Crisis Exclusive: বিশেষ আকারের সামপানেই মায়ানমার থেকে বাংলাদেশ পাড়ি রোহিঙ্গাদের
৭ জন মাঝি তিনকোনা আকারের তিনটি পাল ধরে টেনে নিয়ে যেতেন বড় বড় সামপানকে।
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: সামপান। শব্দটির সঙ্গে আমরা পরিচিত অনেকেই। বাংলাদেশের (Bangladesh) বিভিন্ন ধরনের নৌকার মধ্যে অন্যতম এই সামপান (Sampan)। কিন্তু সেই সামপানকে খুব কাছ থেকে চোখে দেখেছে কজন? বিশেষত যাঁরা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। তাঁদের খুব বেশি চোখে দেখার সুযোগ হয়নি।
সামপানের বিশেষ গঠন
মূলত, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুতুবেড়িয়া, টেকনাফ এলাকায় সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এই সামপান। সামপানের বিশেষত্ব এর আকারেই। দেখতে অনেকটা যেন অর্ধচন্দ্রাকৃতি। সামনে আর পিছন, এই দুটো দিক উঁচু আর বাঁকানো।
কিন্তু কেমন এমন বিশেষ আকার সামপানের?
মাঝি-মাল্লারা বললেন, বঙ্গোপসাগরে প্রবল ঢেউয়ের দাপট। সেই ঢেউয়ের দাপট সামলাতেই নাকি সামপানের এমন আকার করা। যাতে ঢেউ ফুঁড়ে বেরিয়ে যেতে সুবিধা হয়।
সামপান শব্দের উৎপত্তি
সামপান আসলে একটি ক্যান্টনিজ শব্দ। যা এসেছে 'সাম' মানে 'তিন' এবং 'পান' মানে 'কাঠের টুকরো' থেকে। যার আভিধানিক অর্থ ‘তিন টুকরো কাঠ'।
সামপানের অতীত-বর্তমান
একটা সময় ছিল যখন ৭ জন মাঝি তিনকোনা আকারের তিনটি পাল ধরে টেনে নিয়ে যেতেন বড় বড় সামপানকে। তবে এখন অধিকাংশ নৌকাতেই হাল বদলে গিয়েছে মোটরে।
কী কাজে লাগে সামপান?
সমুদ্রে মাছ ধরা তো বটেই, এমনকি যাত্রী পারাপারের জন্যও ব্যবহৃত হয় এই সামপান। মাঝিরা বললেন, ভোর ৪টে-৬টা বাজতেই তাঁরা সামপান নিয়ে পাড়ি জমান সমুদ্রে। ঘটনাচক্রে, মায়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার সময় অনেক রোহিঙ্গা-ই সমুদ্রপথ পেরিয়েছিলেন সামপান দিয়ে।