Saudi Arabia: গণহত্যা? কয়েকশো শরণার্থীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ সৌদির বিরুদ্ধে...
Saudi Arabia: ক্রাইম এগেইন্সট হিউম্যানিটি! গণহত্যা! অন্তত এভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে এই হত্যাকাণ্ডকে। সৌদি আরবের (Saudi Arabia) সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে কয়েকশো অভিবাসনপ্রত্যাশী তথা শরণার্থীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'ক্রাইম এগেইন্সট হিউম্যানিটি'! অন্তত এভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে এই হত্যাকাণ্ডকে। সৌদি আরবের (Saudi Arabia) সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে কয়েকশো অভিবাসনপ্রত্যাশী তথা শরণার্থীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সৌদির প্রতিবেশী ইয়েমেন (Yemen) সীমান্তে এই ঘটনা ঘটিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। সৌদি আরবের এই কাণ্ডকে ইতিমধ্যেই 'গণহত্যা' হিসেবে অভিহিত করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (Human Rights Watch/HRW)।
আরও পড়ুন: Satellite Train: রাতের আকাশে ছুটে চলেছে আলোর ট্রেন? কোথা থেকে এল, রহস্য কী?
এইচআরডব্লিউ (HRW) প্রকাশিত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, একটু বাঁচার আশায় ইয়েমেন পাড়ি দিয়ে সৌদি আরব পৌঁছনোর চেষ্টা করছিলেন ওই অভিবাসীরা। সেই সময়ে সীমান্তে কয়েকশো অভিবাসীদের গুলি করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই ইথিওপিয়ার নাগরিক। জানা গিয়েছে, সৌদি বাহিনীর গুলিতে মৃত শরণার্থীদের দেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। দাবি, ইয়েমেনের সীমান্তে তাঁদের উপর গুলি ও বিস্ফোরক ব্যবহার করেছে সৌদি আরবের পুলিস এবং সৈন্য। রাতের অন্ধকারে সৌদি প্রবেশের চেষ্টা করা ওই ইথিওপিয়ানদের মধ্যে বহু নারী এবং শিশুও ছিল। সীমান্তের কাছাকাছি পৌঁছলেই এঁদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়।
রাষ্ট্রসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার হিসাব বলছে, প্রতি বছর দু'লাখের বেশি মানুষ প্রথমে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে এবং পরে ইয়েমেন পেরিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টা করেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলি বলছে, পথে এঁদের অনেকেই ধরা পড়ে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন। মারধর তো জোটেই। সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার বিপদও তো কম নয়।
এত বাধা পেরিয়ে লক্ষ্যের কাছাকাছি যাঁরা পৌঁছন, তাঁরা আবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির মুখে পড়েন! মর্মান্তিক!
আরও পড়ুন: UK: রেকর্ড! স্বাধীনতালাভের মাসেই শিশু-জন্মহারে ব্রিটিশদের দশ গোল দিল ভারত...
মানবাধিকার সংস্থাগুলি বলছে, সৌদিতে যা ঘটেছে তা মূলত গণহত্যা। সৌদির আক্রমণের মুখে যাঁরা না-মরে কোনও ক্রমে বেঁচে গিয়েছেন তাঁদের শরীরে তাঁরা ভয়ংকর আঘাত ও ক্ষতের চিহ্ন বহন করছেন বলে জানা গিয়েছে। এটি মানবতাবিরোধী অপরাধের তুল্য হতে পারে বলে তাঁদের মত।