নিজের দেশে অবৈধ, তাই মেক্সিকোর সারোগেট মাদারের গর্ভজাত সন্তান নিয়ে দেশে ফিরতে পারছেন না স্প্যানিশ দম্পতি
মেক্সিকোর সারোগেট মাদারের দ্বারা জন্মানো জমজ সন্তানদের নিয়ে দেশে ফিরতে পারছেন না স্পেনের এক সমকামী দম্পতি। সন্তানদের জন্মস্থান মেক্সিকোর টাবাসকো প্রদেশে বৈধ হলেও সারোগেসিকে বৈধতা দেয়না মেক্সিকো ফেডেরাল অথরিটি। ফলে সদ্যোজাত সন্তানদের মেক্সিকান পাসপোর্ট ইস্যু করা যাচ্ছে না।
লুই দেলগাডো এবং জোস অ্যান্টোনিও ফার্নান্ডেজ। গত বছর মেক্সিকোয় বিয়ে হয় স্পেনের এই সমকামী দম্পতির। এরপর মেক্সিকোর টাবাসকো প্রদেশে চলতি বছরের ছয়ই জানুয়ারি সারোগেট মাদারের সাহায্যে তাঁদের জমজ সন্তান হয়। কিন্তু সেই জমজ সন্তানদের জন্য পাসপোর্ট ইস্যু করছে না মেক্সিকো ফেডেরাল অথরিটি। কারণ টাবাসকো প্রদেশে বৈধ হলেও মেক্সিকোর ফেডেরাল অথিরিটি সারোগেসিকে বৈধতা দেয় না। পাসপোর্ট না পেয়ে সন্তানদের নিয়ে স্পেনে ফিরতে পারছেন না দেলগাডো ও ফার্নান্ডেজ।
জানালেন, "আমরা বিবাহিত। গতবছর মেক্সিকোতেই আমরা বিয়ে করি। ওই সন্তানদের জন্মের সংশাপত্র রয়েছে। তারা যে আমাদেরই সন্তান এর থেকেই তা প্রমাণ হয়। ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টও রয়েছে আমাদের সঙ্গে। কিন্তু অবাক ব্যাপার। কোনও কিছুই কাজে আসছে না।"
সারোগেসি বৈধ নয় স্পেনেও। তবে যে দেশে সন্তানের জন্ম হয়েছে সেই দেশ যদি সরকারিভাবে ওই দম্পতিকে সদ্যোজাতের বাবা মায়ের স্বীকৃতি দেয় তবে স্পেন সেই সন্তানদের নাম নথিভুক্ত করে। তা না হলে সরকারি নথিতে মায়ের নামের উল্লেখ থাকতে হবে। স্পেনের একটি সংবাদপত্র সূত্রে খবর, টাবাসকোয় সারোগেসির চুক্তিপত্রে দেলগাডো ও অ্যান্টোনিও নিজেদের ওই সন্তানদের বাবা বলে উল্লেখ করলেও মায়ের নাম উল্লেখ করেননি।
সদ্যোজাতদের জন্ম সংশাপত্রে সারোগেট মায়ের নাম উল্লেখ করতে বলে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে পরামর্শ দেয় স্পেনের রাষ্ট্রদূত। কিন্তু কোনওভাবেই সারোগেট মায়ের নাম উল্লেখ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন দেলগাডো ও অ্যান্টোনিও। ফলে সমস্যা মেটেনি। কোনও দেশের নাগরিকত্ব না পেলে ওই সন্তানরা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ নানান অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।