নিজস্ব প্রতিবেদন: আবার কি সিংহাসনে বসবেন আন সাং সু কি-ই? এই প্রশ্নই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেননা, সামনের রবিবার ভোট মায়ানমারে।


দীর্ঘ ৫০ বছর সামরিক শাসনের পরে ২০১০ সালে গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে শুরু করে মায়ানমার৷ গৃহবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি পান শান্তিতে নোবেল জয়ী গণতন্ত্রীপন্থি সু কি৷


১৯৬২ সালে সেনাবাহিনী তৎকালীন বার্মার ক্ষমতা দখল করে৷ ১৯৯০ সালের ২৭ মে সামরিক শাসকদের তত্ত্বাবধানে মায়ানমারে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ সেই নির্বাচনে সু কি-র দল জয়লাভ করে৷ কিন্তু সামরিক শক্তিই সে দেশে ২০১১ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনা করে৷ প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে সে দেশে সংবিধান গৃহীত হয়েছিল৷ ২০১৫ সালে হয় সাধারণ নির্বাচন৷ ওই নির্বাচনে বড় জয় পায় সু কি-র দল 'ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি' (এনএলডি)৷ কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সমালোচনার ঝড় ওঠে সু কি-র বিরুদ্ধে৷ আন্তর্জাতিক আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগও উঠেছিল৷ 


রাজনৈতিক বিতর্ক কোনও দিনই বন্ধ হয়নি এ দেশে। ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান৷


বিতর্ক এ বারেও ভরপুর। এ বারের ভোটে রোহিঙ্গা ও রাখাইন জাতিগোষ্ঠীকে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ায় তাদের রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল। এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘও৷


এ বারে মোট ভোটারসংখ্যা তিন কোটি ৭০ লাখ৷ এর মধ্যে ৫০ লাখ তরুণ ভোটার৷ ক্ষমতাসীন এনএলডি সরকার সাম্প্রতিক সময়ের ছাত্র আন্দোলন দমাতে শক্তি প্রয়োগ করেছিল৷ ফলে 'অল বার্মা ফেডারেশন স্টুডেন্টস ইউনিয়ন' নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছে৷


আরও পড়ুন: দু'শোর বেশি আসন পাব, মে মাসের পর আপনার অ্যাকাউন্টে কেন্দ্রের টাকা: শাহ