রবিবার ভোট মায়ানমারে, মসনদে কি ফের সু কি!
২০১৫ সালে নির্বাচনে বড় জয় পায় সু কি-র দল `ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি`৷
নিজস্ব প্রতিবেদন: আবার কি সিংহাসনে বসবেন আন সাং সু কি-ই? এই প্রশ্নই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলে।
কেননা, সামনের রবিবার ভোট মায়ানমারে।
দীর্ঘ ৫০ বছর সামরিক শাসনের পরে ২০১০ সালে গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে শুরু করে মায়ানমার৷ গৃহবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি পান শান্তিতে নোবেল জয়ী গণতন্ত্রীপন্থি সু কি৷
১৯৬২ সালে সেনাবাহিনী তৎকালীন বার্মার ক্ষমতা দখল করে৷ ১৯৯০ সালের ২৭ মে সামরিক শাসকদের তত্ত্বাবধানে মায়ানমারে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ সেই নির্বাচনে সু কি-র দল জয়লাভ করে৷ কিন্তু সামরিক শক্তিই সে দেশে ২০১১ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনা করে৷ প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে সে দেশে সংবিধান গৃহীত হয়েছিল৷ ২০১৫ সালে হয় সাধারণ নির্বাচন৷ ওই নির্বাচনে বড় জয় পায় সু কি-র দল 'ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি' (এনএলডি)৷ কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সমালোচনার ঝড় ওঠে সু কি-র বিরুদ্ধে৷ আন্তর্জাতিক আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগও উঠেছিল৷
রাজনৈতিক বিতর্ক কোনও দিনই বন্ধ হয়নি এ দেশে। ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান৷
বিতর্ক এ বারেও ভরপুর। এ বারের ভোটে রোহিঙ্গা ও রাখাইন জাতিগোষ্ঠীকে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ায় তাদের রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল। এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘও৷
এ বারে মোট ভোটারসংখ্যা তিন কোটি ৭০ লাখ৷ এর মধ্যে ৫০ লাখ তরুণ ভোটার৷ ক্ষমতাসীন এনএলডি সরকার সাম্প্রতিক সময়ের ছাত্র আন্দোলন দমাতে শক্তি প্রয়োগ করেছিল৷ ফলে 'অল বার্মা ফেডারেশন স্টুডেন্টস ইউনিয়ন' নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছে৷
আরও পড়ুন: দু'শোর বেশি আসন পাব, মে মাসের পর আপনার অ্যাকাউন্টে কেন্দ্রের টাকা: শাহ