Bangladesh Protest | Taslima Nasreen: `আমি মারা যাব, আর কোথাও যাওয়ার মতো অবস্থায় আমি নেই` আতঙ্কিত তসলিমা...
Taslima Nasreen`s India stay at risk: কেন তসলিমা নাসরিনের এই আশঙ্কা? গত ২৭ জুলাই তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তা কি রিনিউ হবে? এই নিয়েই উদ্বেগে ভুগছেন তিনি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: খুবই উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন বিতর্কিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন। মূলত ভারতে থাকা নিয়েই আশঙ্কায় ভুগছেন নির্বাসিতা এই লেখিকা। ২০১১ সাল থেকে টানা দিল্লিতে আছেন তিনি। কেন তাঁর এই আশঙ্কা? গত ২৭ জুলাই তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তা কি ফের রিনিউ হবে? এই নিয়েই উদ্বেগে ভুগছেন তিনি।
আরও পড়ুন: New Vande Bharat: বাংলায় আবারও এক 'বন্দে ভারত'! হাওড়া থেকেই কু ঝিক ঝিক করে সোজা ওড়িশা...
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে তসলিমা বলেন, আমি ভারতে থাকতে পছন্দ করি। এদিকে প্রায় দেড় মাস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও আমার ভিসার মেয়াদ বাড়ায়নি কেন্দ্রীয় সরকার! উদ্বিগ্ন তসলিমা নাসরিন বলেন, ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে ভারত সরকারের কাছ থেকে তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন না। তাই তিনি চিন্তিত।
এ বিষয়ে 'লজ্জা'র লেখিকা বলেন, আমি জানি না, কার সঙ্গে কথা বলব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন? আমি কারও সঙ্গে এখনও কথা বলিনি। আমি অনলাইনেই চেক করি। কিন্তু সেই প্ল্যাটফর্মে এখনও কোনো নিশ্চয়তা পাইনি। এরকম আগে কখনও ঘটেনি। এ দেশে থাকার অনুমতি বাতিল হওয়ার আগেই বরাবর ভিসার নিশ্চয়তা পেয়ে এসেছি।
বরাবরই যদি এমনটা হয়ে থাকে, তাহলে এবার কেন ভিসার মেয়াদ বাড়ছে না তসলিমার? তসলিমার ভিসার মেয়াদ না বাড়ানোর পিছনে কি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিই দায়ী? সরাসরি এমন প্রশ্নের জবাবে লেখিকা বলেন, বাংলাদেশ ও সেখানকার রাজনীতির সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রসঙ্গত, ইসলাম ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করায় নিজের দেশ (বাংলাদেশ) ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা। তখন নির্বাসিত হয়ে দীর্ঘকাল ইউরোপে বসবাস করেছিলেন। এরপর তিনি ভারতে স্থায়ীভাবে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তী সময়ে ২০১১ সাল থেকে তিনি টানা দিল্লিতেই থাকছেন।
ভারতে নিজের অবস্থান-সংক্রান্ত জটিলতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তসলিমা বলেন, তিনি এখানে একজন সুইডিশ নাগরিক হিসেবে থাকেন। বাংলাদেশে বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতির আগেই তাঁর ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল। ২০১৭ সালেও একবার এরকম সমস্যা হয়েছিল। তবে সেবার তা প্রযুক্তিগত সমস্যা ছিল।
আরও পড়ুন: Howrah: পুজোর সময়ে মিলবে না ইলিশ? বাঙালির পাতে পড়বে না পদ্মাপারের রুপোলি শস্য?
এর পরই তিনি বলেন, মানুষ মনে করেন আমার সঙ্গে সরকার ও নেতাদের ঘনিষ্ঠতা আছে, তা কিন্তু নয়। পারমিট না পেলে আমি মারা যাব। এখন কোথাও যাওয়ার মতো অবস্থায় আমি নেই!
ওদিকে বাংলাদেশে ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল! গত ৬ ও ৭ অগাস্ট দুদিনে সেই বাড়ি ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। এই তালিকায় রয়েছে সুনীল গাঙ্গুলির বাড়িও। তবে তাঁর বাড়ি ভাঙা হয়নি বলেই খবর। তা দখল করে নেওয়া হয়েছে। দখল করেছে বিএনপি। যদিও পরে আবার খবর আসে, তাঁর বাড়ি বিএনপি'র হাত থেকে উদ্ধারও করা হয়েছে।