৫ হাজার বছর পর ন্যাশানাল জিওগ্রাফির ম্যাপে বরফ গলা জলের ২১৬ ফুট তলায় কলকাতা, বাংলাদেশ
বর্ষাকালে জল পেরিয়ে স্কুল,কলেজ, অফিস যাওয়াটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে শহরবাসীর। কিন্তু তা বলে কলকাতা শহরটা একেবারে পুরো জলের তলায়! না কোনও হলিউডি সিনেমায় নয় বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পাঁচ হাজার বছরের মধ্যে পৃথিবীর ম্যাপে কলকাতার ওখানেই ঠাঁই হয়েছে। 'ন্যাশানাল জিওগ্রাফি' প্রকাশিত এক গ্লোবাল ম্যাপে দুনিয়ার বিভিন্ন শহরের সঙ্গে কলকাতারও স্থান হয়েছে জলের তলায়। কলকাতার সঙ্গে বাংলাদেশও থাকবে জলের তলায়।
ওয়েব ডেস্ক: বর্ষাকালে জল পেরিয়ে স্কুল,কলেজ, অফিস যাওয়াটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে শহরবাসীর। কিন্তু তা বলে কলকাতা শহরটা একেবারে পুরো জলের তলায়! না কোনও হলিউডি সিনেমায় নয় বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পাঁচ হাজার বছরের মধ্যে পৃথিবীর ম্যাপে কলকাতার ওখানেই ঠাঁই হয়েছে। 'ন্যাশানাল জিওগ্রাফি' প্রকাশিত এক গ্লোবাল ম্যাপে দুনিয়ার বিভিন্ন শহরের সঙ্গে কলকাতারও স্থান হয়েছে জলের তলায়। কলকাতার সঙ্গে বাংলাদেশও থাকবে জলের তলায়।
গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে তো অনেক লেখা বেরিয়েছে। আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে দুনিয়া যেভাবে 'প্রগতির'দিকে চলছে তাতে পৃথিবী ধ্বংস আর বেশি দেরী নয়। 'ন্যাশানাল জিওগ্রাফি' সেই বিষয়েই স্পষ্ট ধারণা দিতে একটা ম্যাপ প্রকাশ করল। গ্লোবাল ওয়ার্মিং কারণে যেদিন পৃথিবীর সব বরফ গলে যাবে তখন পৃথিবীর কী অবস্থা হবে, এক চোখে দেখে নেওয়া যাবে এই ম্যাপে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আমাদের প্রিয় শহর কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ জলের অভ্যন্তরে চলে যাবে।
পৃথিবীর সব বরফ গলে গেলে যে কলকাতা আগে ডুববে এই খবর হয়ত আমাদের কাছে পুরানো, কিন্তু এই প্রথম বিজ্ঞানীদের গবেষণায় যে ম্যাপ প্রকাশিত হয়েছে, তা সত্যি চিন্তার বিষয়। বিজ্ঞানীরা জানচ্ছেন, পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে মাত্র ১০ শতাংশের মতো বরফের চাদর রয়েছে। পৃথিবীতে পাঁচ মিলিয়ন কিউবেক মাইল হিমায়িত জল জমা রয়েছে। যদি এই বরফ স্তর পুরোটাই গলে যায় তাহলে কেমন দেখতে লাগবে আমাদের পৃথিবীকে?
ন্যাশানাল জিওগ্রাফি সাতটি মহাদেশের মানচিত্র প্রকাশ করেছে যা সমুদ্র তীরবর্তী দেশগুলি প্রায় ২১৬ ফুট জলের তলায় চলে যাবে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, প্রায় পাঁচ হাজার বছরের মধ্যে পৃথিবীর সব বরফ গলে জলে পরিণত হবে। পৃথিবীর প্রথম অবস্থায় ফিরে আসার প্রারম্ভিক সূচনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। আমেরিকার এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি জানিয়েছেন, এখনই সমুদ্রের স্তর স্বাভাবিকের থেকে সাত ইঞ্চি স্ফীত হয়েছে।
পৃথিবীর ৮০ শতাংশ বরফ লক্ষ্য করা যায় গ্রীনল্যান্ড, আন্টার্টিকা প্রদেশে। বাকি বিভিন্ন পার্বত্য এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ন্যাশানাল জিওগ্রাফির রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে প্রতিবছর ৬৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন বরফ গলছে।
SOURCES: Philippe Huybrechts, Vrije Universiteit Brussel; Richard S Williams, JR., Woods Hole Research center; James C. Zachos, University of Claifornia, Santa Cruz; USGS; NOAA, ETOPO1 Bedrock, 1 Arc-Minute Global Relief Model © SEPTEMBER 2013 NATIONAL GEOGRAPHIC SOCIETY