নিজস্ব প্রতিবেদন- করোনাভাইরাস হয়ে উঠতে পারে সন্ত্রাসবাদীদের হাতিয়ার। রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অ্যান্টোনিও গুতেরেস দিলেন এমনই এক উদ্বেগজনক তথ্য। তিনি জানান, মানুষ মারতে কিছু সন্ত্রাসবাদী করোনাভাইরাসকে জৈব মারণ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। বৃহস্পতিবার ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রর রাষ্ট্রপতির অধীনে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই মারণ ভাইরাস নিয়ে তিনি জানান, এটি একটি প্রজন্মের লড়াই। মহামারীর আকার নেওয়া করোনার বিরুদ্ধে দ্রুত যুদ্ধ জিততে না পারলে তা মানবজাতির বড়সড় ক্ষতি করতে পারে। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে এই ভাইরাস বর্তমানে হুমকির কারণ হয় দাঁড়িয়েছে বলেও জানানো হয়। যার ফলে সামাজিক অস্থিরতা যেমন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে পারে, তেমনই এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষমতাও ক্ষুন্ন হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন— ভাইরাস ছড়িয়ে লজ্জা নেই! এবার কাশ্মীর নিয়ে মাথাব্যথা চিনের, ধমকে দিল ভারত


করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে এখন প্রায় প্রত্যেক দেশেরই সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রস্তুতির অভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। আর ঠিক এই সময়েই সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চালাতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা। বর্তমানে প্রায় প্রত্যেক দেশের বা রাজ্যের সরকারের নজর এই মারণ ভাইরাসের বিস্তার কমানোর দিকে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা, মনে করছেন জাতিসংঘের প্রধান। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদীরা করোনাভাইরাস হামলা চালালে সারা বিশ্ব ধ্বংসের সম্মুখীন হবে। এবং মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে। তাই এই পরিস্থিতিতে তিনি আন্তর্জাতিক, দেশীয় বিভিন্ন দ্বন্দ্ব বর্তমানে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। 


জোনস হপকিংস বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে জানিয়েছে, সারা বিশ্বে প্রায় ১.৬ মিলিয়ন মানুষ করোনায় আক্রান্ত। এবং প্রায় ৯৫,০০০ মানুষ মারা গিয়েছে এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপে। এই মারণ ভাইরাস দ্বারা সন্ত্রাসবাদী হামলার যেমন ঝুঁকি রয়েছে তেমনই অন্য দিকে মানবাধিকারের বিভিন্ন সমস্যা যেমন শরণার্থী, ঘর—বাড়ি—সম্পত্তি হারানো মানুষদের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়াও বিশ্ব অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলেছে এই ভাইরাস। কারণ ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেকারত্ব ও ব্যবসায় আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছে। এই সময় অন্তত সারা বিশ্বে যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের প্রধান। তিনি আরও জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ থেকে আফ্রিকা এবং মধ্য প্রাচ্য, এশিয়ার বিভিন্ন দেশ করোনা মোকাবিলা করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এছাড়াও ইতিমধ্যেই তিনি মানবিক সংকটের মুখোমুখি দেশগুলির প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে হিউম্যানিটি রেসপন্স প্ল্যান চালু করেছেন।