পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি বিএনপি আমলে : হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি আমলে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দুর্নীতির কারণেই বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন স্থগিত করেছে।

Updated By: Oct 19, 2011, 09:31 PM IST

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি আমলে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দুর্নীতির কারণেই বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন স্থগিত করেছে। বুধবার লালমনিরহাটে এক জনসভায় তিনি বলেন, "আমার কাছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যে দুর্নীতির ডকুমেন্ট দিয়েছে, তা তাদের (চারদলীয় জোট সরকার) আমলের যোগাযোগমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। দুটি ডকুমেন্টই বিএনপির যোগাযোগমন্ত্রীর ডকুমেন্ট। চোরের মায়ের বড় গলা।" পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক কিছু দিন আগেই অর্থায়ন স্থগিতের ঘোষণা দেয়। বিরোধী দল দাবি করছে, সরকারের দুর্নীতির কারণেই পদ্মা সেতু নিয়ে এ জটিলতা তৈরি হয়েছে। তবে সরকারি দলের পক্ষ থেকে দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুর কথিত দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ ইতোমধ্যে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দুর্নীতি দমন কমিশন কাজও শুরু করেছে।
দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহলে যাওয়ার পথ তিন বিঘা করিডোর পরিদর্শনের পর পাটগ্রাম সরকারি জসিমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি ডিগ্রি কলেজ মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। বক্তব্যে বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়ার রোড মার্চ কর্মসূচির সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তি শিগগরিই হবে বলে জানান তিনি। তিস্তার ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাসও দেন প্রধানমন্ত্রী। লালমনিরহাটে আড়াইশ প্রাথমিক বিদ্যালয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লালমনিরহাট সরকারি কলেজে মাস্টার্স কোর্স এবং পাটগ্রাম কলেজে অনার্স কোর্স চালু করা হবে। এছাড়া এ জেলায় একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটও স্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি। আওয়ামী লীগের এ জনসভায় মহাজোট শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদও বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাহারা খাতুন, দীপু মনি, মোতাহার হোসেন, এ বি তাজুল ইসলাম। পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম নাজুর সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বি মিয়া, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমানও বক্তব্য রাখেন।
বুধবার সকালে বিমানে করে সৈয়দপুর যান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে লালমনিরহাট পৌঁছান তিদনি। এরপর দহগ্রাম দ্বিমুখী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা বিদ্যুৎ সঞ্চালন কার্যক্রম, দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ ভবন এবং ১০ শয্যার দহগ্রাম হাসপাতাল উদ্বোধন করেন তিনি।
দুপুরে প্রধানমন্ত্রী তিন বিঘা করিডোরে যান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী গোলাম নবী আজাদ ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র প্রসাদ সিং। করিডোর পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী সেখানে একটি লিচু গাছের চারা রোপণ করেন।

.